এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

২০৩০’র মধ্যে বাংলা থেকে বিলুপ্ত হবে পেট্রোল-ডিজেল চালিত বাস

নিজস্ব প্রতিনিধি: লক্ষ্য এবার ২০৩০। নাহ কোনও নির্বাচনে জয়লাভের লক্ষ্য নয় এটা। এই লক্ষ্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের। আর সেটাও পরিবহণ ক্ষেত্রে বড়সড় বিপ্লব আনার জন্য। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) পরিচালিত রাজ্য সরকার লক্ষ্য নিয়েছে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলার বুক থেকে পেট্রোল ও ডিজেল(Petrol-Diesel) চালিত সমস্ত বাস তুলে নেওয়ার। তা সে সরকারি হোক কী বেসরকারি। রাজ্যের নতুন পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী(Snehasis Chakrabarty) এমনটাই জানিয়েছেন। আর এই লক্ষ্য ছোঁয়ার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার যেমন আগামী ২-৩ বছরের মধ্যে রাস্তায় ১১৮০ টি বৈদ্যুতিক বাস নামাতে চলেছে ঠিক তেমনি বেসরকারি বাস মালিকদেরও বৈদ্যুতিক বাস কেনার ক্ষেত্রে উৎসাহ দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে স্পষ্টতই জানিয়ে দেওয়া হবে ২০৩০ সালের পরে রাজ্যের কোথাও পেট্রোল ও ডিজেল চালিত বেসরকারি যাত্রীবাহী বা অফিসযাত্রী কিংবা স্কুল পড়ুয়াদের জন্য কোনও রকমের বাস চলতে দেওয়া হবে না। সারা রাজ্যেই এই কয়েক বছরের মধ্যে পেট্রল ও ডিজেল পরিচালিত বাসের সংখ্যা ধীরে ধীরে কমিয়ে দেওয়া হবে। বদলে রাস্তায় নামবে বিদ্যুৎ চালিত বাস(E-Bus)।

বুধবার শিলিগুড়িতে রাজ্যের নতুন পরিবহণমন্ত্রী একটি বৈঠক করেন। সেই বৈঠক হাজির ছিলেন উত্তরবঙ্গের ৮টি জেলা পরিবহন সংস্থা ও প্রশাসনের আধিকারিকেরা। বৈঠক শেষে পরিবহণমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, ‘সারা রাজ্যজুড়ে পরিবহন ব্যবস্থাকে স্মার্ট করার পরিকল্পনা রয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে পেট্রল ও ডিজেল চালিত বাস বন্ধ হয়ে যাবে। শুধুমাত্র বিদ্যুৎ চালিত বাস চলবে। যে কারণে ধাপে ধাপে রাজ্যে বিদ্যুৎ চালিত বাস নামানো হবে। কলকাতার পাশাপশি জেলাগুলিতেও বিদ্যুৎ চালিত বাস নামানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে প্রায় ১১৮০ টি বৈদ্যুতিক বাস রাস্তায় নামানো হবে। ইতিমধ্যেই সেই প্রক্রিয়া শুরুও হয়ে গিয়েছে। বাসগুলির জন্য কোথায় চার্জিং পয়েন্ট স্টেশন হবে তার সমীক্ষা শুরু হয়েছে।’ সাংবাদিক বৈঠক সেরে পরিবহণমন্ত্রী বেসরকারি বাস মালিকদের সঙ্গেও একটি বৈঠক করেন। সেখানে বাস মালিকদের তরফে জানানো হয়, যেভাবে জ্বালানির দাম বেড়েছে, তাতে পুরোনো ভাড়ায় বাস চালানো যাচ্ছে না। ভাড়া না বাড়ানো হলে বাস বসিয়ে দেওয়া ছাড়া দ্বিতীয় কোনও রাস্তা খোলা থাকবে না। যদিও পরিবহণমন্ত্রী তাঁদের জানিয়ে দেন, সাধারণ মানুষের ওপর চাপ বাড়ানো যাবে না।

যদিও মন্ত্রী যখন বৈঠক করছেন তখন কলকাতা হাইকোর্ট(Calcutta High Court) বাসভাড়া বৃদ্ধি সংক্রান্ত মামলায় হলফনামা দিতে গড়িমসি হওয়ায় পরিবহণ দফতরকে জরিমানা করেছে। সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও নিজেদের বক্তব্য না জানানোয় রাজ্য পরিবহণ দফতরকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। ওই মামলার মূল বক্তব্যই ছিল, নিয়ম না মেনে বেসরকারি বাস ও মিনিবাসগুলি লাগামহীন ভাড়া নিচ্ছে। মামলাকারী প্রত্যুষ পাটোয়ারি দাবি করেছিলেন, বেসরকারি বাসের ভাড়া নিয়ে রাজ্য পরিবহণ দফতরের অবস্থান স্পষ্ট নয়। তার সুযোগ নিয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে বাস ও মিনিবাসগুলি। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাজ্যের কাছে মূলত তিনটি বিষয় জানতে চেয়েছিল আদালত। সরকার নির্ধারিত ভাড়ার তালিকা সব বাসে লাগানো রয়েছে কি? যাত্রীদের কাছ থেকে সরকারের জারি করা নির্ধারিত ভাড়াই আদৌ নেওয়া হচ্ছে কি? এছাড়া যাত্রীদের অভিযোগ গ্রহণের কী ব্যবস্থা রয়েছে? কিন্তু নির্ধারিত সময় পেরনোর পরও উত্তর দিতে পারেনি রাজ্য। আদালত সময় বেঁধে দেওয়ার পরও হলফনামা জমা না দেওয়ায় রাজ্যকে কার্যত ভর্ৎসনা করে আদালত। এরপরই দেরির জন্য রাজ্যকে ১০ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দেয় বেঞ্চ। 

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

শান্তিপুরে অবসরপ্রাপ্ত বৃদ্ধের রহস্য মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য

শুভেন্দু অধিকারী ও অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নামে এফআইআর দায়ের তমলুক থানায়

ঝাড়গ্রাম লোকসভা আসনে সিপিএমের উত্থানে সংকটে বিজেপি

স্ত্রী চলে যাওয়ার অভিমানে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী স্বামী

ঝাড়গ্রামে ডোবাতে পড়ে যাওয়া হাতিকে উদ্ধারে ব্যর্থ বন দফতর ,অবশেষে মৃত্যু

দু চোখ অন্ধ থাকলেও মাধ্যমিক পরীক্ষায় তাক লাগানো ফল এক জন্মান্ধ মেয়ের

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর