নিজস্ব প্রতিনিধি: জঞ্জালের স্তূপ থেকে বর্জ্য তোলার কাজ যাঁরা করেন, ক্ষতিকর গ্যাসের প্রভাবে তাঁদের শরীরেও বাসা বাঁধছে নানা রোগ। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কাজ করতে গিয়ে অসুস্থ হচ্ছে শিশুরাও। বৃহত্তর কলকাতা-সহ শহরতলির বিভিন্ন বড় ডাম্পিং গ্রাউন্ডগুলিতে(Dumping Ground) যাঁরা সাফাইয়ের কাজ করেন এবং সেখান থেকে বিভিন্ন জিনিসপত্র যাঁরা সংগ্রহ করেন যে সব কুড়ানিরা, সেই ‘সাফাই-সাথী’দের(Safaisathi) অবস্থা যে বেশ করুণ তা নিয়ে নানান সময় সোচ্চার হয়েছে নানান বেসরকারি সংস্থা। এবার সোচ্চার হল কলকাতা হাইকোর্ট(Calcutta High Court)। রাজ্যের এই শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, ওরাও তো মানুষ। ওরা কাজ করে সমাজ ও শহরকে পরিষ্কার রাখতে। অথচ ওদের দিকেই কারও হুঁশ নেই। সেই ‘নেই হুঁশকে’ ফেরাতেই এবার সাফাইসাথীদের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে(West Bengal State Pollution Control Board) রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন গ্রেফতার মঙ্গলাহাটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত শান্তিরঞ্জন দে
এই সাফাইসাথীদের নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন বিশিষ্ট পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত(Subhash Dutta)। সেই মামলাতেই কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ সোমবার নির্দেশ দিয়েছে, ডাম্পিং গ্রাউন্ডগুলিতে যে সব সাফাইসাথীরা কাজ করেন তাঁদের শারীরিক অবস্থা কেমন তা সেই সব ডাম্পিং গ্রাউন্ডগুলিতে গিয়ে এই বিষয়ে প্রকৃত তথ্য সংগ্রহ করে আগামী ৩ সপ্তাহের মধ্যে আদালতে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। ১৮ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি। সুভাষ দত্তের অভিযোগ ছিল, কলকাতার প্রান্তদেশে থাকা ধাপা, মোল্লারভেড়ি, বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে সংলগ্ন ডাম্পিং গ্রাউন্ডগুলির সমস্যা দীর্ঘদিনের পুরোনো। এর আগে জাতীয় পরিবেশ আদালতেও বিষয়টি নিয়ে মামলা করেছিলেন সুভাষ। ওই আদালত যে নির্দেশ দেয়, তা কার্যকর না-হওয়ায় এবার তা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।