নিজস্ব প্রতিনিধি: গত মাসের ২০ তারিখ রাতে এক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পুড়ে ছাই হয়ে যায় হাওড়ার(Howrah) মঙ্গলাহাটের(Mangalahaat) প্রায় ১ হাজার কাপড়ের দোকান। পুজোর আগে কার্যত পথে বসার পরিস্থিতি তৈরি হয় ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের। ঘটনায় প্রথম থেকেই শান্তিরঞ্জন দে’র(Shanti Ranjan Dey) বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছিলেন ব্যবসয়ীরা। দ্রুত তাঁর গ্রেফতারির দাবিও জানান তাঁরা। একুশের জুলাইয়ের সমাবেশ সেরে সেই মঙ্গলাহাট পরিদর্শনে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। সেখানে দাঁড়িয়েই তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তদন্ত করবে রাজ্যের নিজস্ব গোয়েন্দাবাহিনী CID। এবার সেই CID’র হাতেই গ্রেফতার হলেন শান্তিরঞ্জন। একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। নিজেকে মঙ্গলাহাটের জমির মালিক বলে দাবি করতেন তিনি।
আরও পড়ুন আর আয়ারাম গয়ারামরা নয়, তৃণমূলে কদর এবার আদিদের
কলকাতার দমদম এলাকার বাসিন্দা শান্তিরঞ্জন আদতে প্রোমোটার। সেই সঙ্গে বসুন্ধরা টাওয়ার প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি সংস্থার চেয়ারম্যান। বাম সরকারের আমলে তিনি লাল পার্টির বেশ ঘনিষ্ঠ হিসাবেই পরিচিত ছিলেন। হাওড়া মঙ্গলাহাট যে জমির ওপর রয়েছে সেই জমির মালিক নাকি এই শান্তিরঞ্জন। অন্তত প্রকশ্যে তিনি একাধিকবার সেই দাবি করেছেন। শুধু তাই নয়, এই হাট সরিয়ে তিনি সেই জমিতে আবাসন গড়ে তুলতে চান বলেই জানা গিয়েছে। কিন্তু সেই আবাসন গড়ার পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন মঙ্গলাহাটের ব্যবসায়ীরা। তাঁরা ওই এলাকা ছেড়ে অন্য কোথাও তাঁদের ব্যবসা সরাতে চান না। সেই কারণেই শান্তিরঞ্জন আগুন লাগিয়ে মঙ্গলাহাট পুড়িয়ে দিয়েছেন বলেই ঘটনার প্রথম থেকেই অভিযোগ তুলছেন ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীরা। মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও তাঁরা সেই একই দাবি করেছিলেন। এবার দেখা গেল সেই শান্তিরঞ্জনকেই গ্রেফতার করল CID। একই সঙ্গে জানা গিয়েছে, খুব শীঘ্রই মঙ্গলাহাটের জমি অধিগ্রহণের পথে হাঁটা দিতে চলেছে রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন ঝাড়গ্রামে ১৫৮ কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী
মুখ্যমন্ত্রী মঙ্গলাহাটের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পরে পরিদর্শনে গিয়ে জানিয়ে এসেছিলেন, ওই জমিতে রাজ্য সরকার পাকা ভবন করে দেবে ও সেখানেই সব ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসন দেওয়া হবে। সেই ভবন গড়তে গিয়ে যদি দেখা যায় হাটের জমি সরকারের মালিকাধীন তাহলে কোনও সমস্যা হবে না। কিন্তু জমিটি যদি ব্যক্তিগত মালিকানায় থাকে তাহলে তা অধিগ্রহণ করে ওই ভবন গড়ে তোলা হবে। এখন দেখার বিষয় জমিটির মালিক কে? অর্থাৎ রাজ্য সরকার নাকি শান্তিরঞ্জন দে? নবান্ন সূত্রে খবর এই জমির মালিকানার বিষয়টি নিয়ে একটু জটিলতা রয়েছে। জমির মালিক ঠিক কে সেটাই এখনও বার হয়নি। তবে দ্রুত তা খুঁজে বের করা হচ্ছে।