নিজস্ব প্রতিনিধি: দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর অবশেষে সুরাহা পেলেন পুরুলিয়ার(Purulia) শীতলপুর হাইস্কুলের(Sitalpur High School) সহকারী শিক্ষক তুলসী মাহাত(Tulsi Mahat)। তাঁর স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকা সত্ত্বেও সেই অনুযায়ী উচ্চ বেতন পাচ্ছিলেন না তিনি। ইংরেজি বিষয়ে স্নাতকোত্তর তুলসী মাহাত। কিন্তু সেই হিসেবে রোপা রুল অনুযায়ী তাঁকে উচ্চ বেতন দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। ২০১৩ সালে তিনি উচ্চ বেতনক্রমের জন্য জেলা স্কুল পরিদর্শকের কাছে আবেদন করেন। সেই আবেদন গ্রাহ্য হয়নি। ২০১৬ সালে তিনি এর সুরাহা চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের(Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন। ওই ঘটনায় এবার রাজ্য শিক্ষাদফতরকে(West Bengal State Education Department) কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, তুলসী মাহাতকে বিগত ২০ বছরের উচ্চ বেতনের অংশ মিটিয়ে দিতে হবে।
কিন্তু কেন শিক্ষা দফতর তুলসী মাহাতের আবেদন গ্রাহ্য করেনি? জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালে তুলসী মাহাত কলকাতা হাইকোর্টে যে মামলা দায়ের করেছিলেন সেই মামলায় আদালত সবদিক বিবেচনা করে রাজ্য শিক্ষা দফতরকেই সিদ্ধান্ত গ্রহণের নির্দেশ দেয়। কিন্তু ২০১৭ সালের ১৩ এপ্রিল তুলসীবাবুর আবেদন নাকচ করে রাজ্য শিক্ষাদফতর জানিয়ে দেয়, যেহেতু তিনি শিক্ষা দফতরের অনুমতি না নিয়ে ইংরাজি বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি পেয়েছিলেন, তাই তাঁর উচ্চ বেতনক্রমের আবেদন গ্রহণযোগ্য নয়। এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে ফের হাইকোর্টে আসেন তুলসীবাবু। তাঁর আবেদন শুনে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা রায়ে জানান, রায় ঘোষণার দিন থেকে তিনি উচ্চ বেতন পাওয়ার যোগ্য।
কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের এই নির্দেশ মনঃপুত না হওয়ায় ফের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন তুলসী মাহাত। বিচারপতি সৌমেন সেন ও উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানিতে তুলসীবাবুর আইনজীবী সৌগত মিত্র দাবি করেন, রোপা রুল ১৯৯৮ অনুযায়ী স্নাতকোত্তর ডিগ্রি পাওয়ার দিন থেকেই তাঁর মক্কেল উচ্চতর বেতন পাওয়ার দাবিদার। সমস্ত পক্ষের বক্তব্য শুনে নির্দেশে বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, স্নাতকোত্তর ডিগ্রি পাওয়ার দিন অর্থাৎ ২০০৩ সালের ৮ আগস্ট থেকেই ওই শিক্ষককে উচ্চ বেতনক্রম বাবদ প্রাপ্য অর্থ মিটিয়ে দিতে হবে রাজ্যের শিক্ষা দফতরকে।