নিজস্ব প্রতিনিধি: সাত সকালে কেষ্টগড় বোলপুরে(Bolpur) হানা সিবিআইয়ের(CBI)। কেষ্ট ঘনিষ্ঠ ৩জনের বাড়ি কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ঘিরে ফেলে চলছে তল্লাশি অভিযান। কিন্তু কেন এই হানাদারি? এই বিষয়ে প্রকাশ্যে মুখ খোলনেননি সিবিআই আধিকারিকেরা। কিন্তু সূত্রে জানা গিয়েছে, কেষ্টকে(Anubrata Mondol) জিজ্ঞাসাবাদ করেও কোনও তথ্য মিলছে না। এভাবে বেশিদিন তাঁকে জেলে আটকে রাখাও যাবে না। আর তাই কেষ্ট ঘনিষ্ঠদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তাঁদের পেট থেকে কথা বার করে কেষ্টকে জেলেই আটকে রাখতে এখন উঠে পড়ে লেগেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনীর আধিকারিকেরা। আর সবটাই হচ্ছে দিল্লির নর্থ ব্লকের নির্দেশে। সেখান থেকে কড়া অর্ডার এসেছে, কিছু প্রমাণ মিলুক বা না মিলুক, কেষ্ট যেন জেল থেকে বার হতে না পারে। কার্যত সেই লক্ষ্যেই এখন কাজ করে চলেছেন সিবিআই আধিকারিকেরা। অন্তত সূত্রের তেমনটাই দাবি।
গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবারও আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগারে গিয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিকেরা। সেখানে তাঁরা কেষ্ট’র পাশাপাশি তাঁর প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গলকে(Saygol Hossain)ও জিজ্ঞাসাবাদ করেন। কিন্তু সূত্রে জানা গিয়েছে, দুইজনের কেউই কোনও প্রশ্নের উত্তর দেননি। কেষ্টকে করা হয়েছিল ১৫টি প্রশ্ন, সায়গলকে ১০টি। কিন্তু এই ২৫টি প্রশ্নের একটিও উত্তর পাননি সিবিআই কর্তারা। দেড় ঘন্টার জিজ্ঞাসাবাদে কারোর মুখ খোলাতেই পারেননি সিবিআই আধিকারিকেরা। আর তাতেই কার্যত চাপে পড়ে গিয়েছেন সিবিআই আধিকারিকেরা। কেষ্ট আর সায়গলের এহেন নীরব অবস্থানে কার্যত হতাশ সিবিআইয়ের আধিকারিকেরা। তাঁরা বুঝতে পারছেন এভাবে আর কেষ্টকে বেশিদিন জেলে আটকে রাখা যাবে না। তাই আঙুল বেঁকাতে বাধ্য হয়েছেন তাঁরা। আর সেই কারণেই বুধবার সাতসকালে বোলপুরে কেষ্ট ঘনিষ্ঠ ৩জনের বাড়িতে সিবিআই হানা।
এদিন বোলপুরের শুঁড়িপাড়ায় শহরের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল্ম কাউন্সিলর বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়(Biswajyoti Banerjee) ওরফে মুনের বাড়িতে হানা দেন সিবিআই আধিকারিকেরা। রীতিমত কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে বাড়ি ঘিরে ফেলে চলছে তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ। একইরকম ভাবে কেষ্ট’র হিসেবরক্ষক মণীষ কোঠারির বাড়িতেও চলছে সিবিআই হানাদারি। হানা দেওয়া হয়েছে কেষ্ট ঘনিষ্ঠ সুদীপ রায়ের বাড়িতেও। এদের জিজ্ঞাসাবাদ করে কেষ্ট’র পূর্ণাঙ্গ সম্পত্তির হিসাব পেতে চাইছেন সিবিআই আধিকারিকেরা। সেই সঙ্গে বেনামে কোথায় কী কী আছে তার হালহদিশও পেতে চাইছেন তাঁরা। কেননা সিবিআই আধিকারিকদের ধারনা, কেষ্ট ইস্পাত স্নায়ু নিয়ে লড়াই চালিয়ে গেলেও কেষ্ট’র ঘনিষ্ঠ সবাই সেই লড়াই চালাতে পারবেন না। তাই তাঁদের চাপ দিয়েই কার্যোদ্ধার করতে চাইছেন সিবিআই আধিকারিকেরা।