নিজস্ব প্রতিনিধি,চন্দ্রকোনা: জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সমাজের অবহেলিত নিপিড়িত এবং দারিদ্রসীমার নীচে বসবাস কারী যুবক যুবতীদের গণ বিবাহ অনুষ্ঠিত হল।চন্দ্রকোনা টাউনের আমডাংরা দড়বাড়ি ময়দানে।বিশিষ্ট আইনজীবী সমীর কুমার ঘোষের উদ্যেগে এই গণ বিবাহ(Mass Marraige) অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়।এই অনুষ্ঠানটির শুভ সূচনা করেন ঘাটালের(Ghatal) মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস।
উপস্থিত ছিলেন চন্দ্রকোনা(Chandrakona) ২ বিডিও (BDO)উৎপল পাইক ও জয়েন্ট বিডিও অভিজিৎ পোড়িয়া চন্দ্রকোনা পৌরসভার(Chandrakona Municipality) চেয়ারম্যান প্রতিমা পাত্র।এস বি আই চিফ ম্যানেজার সায়ন্তন পাত্র।সমাজের পিছিয়ে পড়া বা দারিদ্রতার কারণে মেয়ের বিয়ে দিতে গিয়ে অনেক সময় আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় পিতামাতাদের। তাই বলে কি মেয়ের বিয়ে দেবেন না তার পিতা মাতারা। তাই জঙ্গলমহলের দরিদ্র পিতামাতার চোখের জল মুছিয়ে দিতে জঙ্গলমহলে(Jangalmahal) গণবিবাহ উৎসবের আয়োজন করলো আম্মা জনসেবা পরিষদীয় ওয়েলফেয়ার সোসাইটি নামে এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। ২১ ফেব্রুয়ারী থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত ৭ দিন ব্যাপী গ্রামীণ আনন্দমেলা সাথে মেলার শেষ দিনে এই গণবিবাহ উৎসব অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা।
সংগঠনের সদস্যদের কথায়, গত বছর ১১ জোড়া পাত্র পাত্রীর পর এই বছর ২১জোড়া পাত্র পাত্রীর বিবাহের আসর বসতে চলেছে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনি ব্লকের অন্তর্গত সাতপাটি গ্রামে। সাতপাটি স্কুল ফুটবল ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে এই সাত দিন ব্যাপী গ্রামীণ আনন্দমেলা ও গণবিবাহ উৎসব। থাকছে গায়ে হলুদ, মালাবদল, ভুড়িভোজ, ছাদনাতলা(Chadnatala) থেকে শুরু করে দান সামগ্রী সবই। আর এই উৎসবে নানান হেভিওয়েট নেতা মন্ত্রী বা প্রশাসনিক অধিকারিকরা তো থাকছেনই সেই সাথে অনুষ্ঠানের উদ্বোধক হিসেবে বিদেশ থেকে আসছেন মাদার টেরিজার স্নেহধন্য বিশিষ্ট সমাজসেবী এবং IIMC ডিরেক্টর ডঃ সুজিত কুমার ব্রহ্মচারী।
উদ্যোক্তাদের কথায়, “সম্মন্ধ করবেন আপনারা এবং বিবাহ দেবো আমরা” অর্থাৎ দারিদ্রসীমার নিচে থাকা পিতা মাতারা তাদের কন্যার সম্মন্ধ ঠিক করে আসলেই তাঁদের বিবাহের ব্যবস্থা করে দেবে আম্মা জনসেবা পরিষদীয় ওয়েলফেয়ার সোসাইটি নাম এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। তবে পাত্র এবং পাত্রী উভয়কেই হতে হবে বিবাহ যোগ্য।