নিজস্ব প্রতিনিধি: কলকাতার(Kolkata) বুকে থাকা সরকারি হাসপাতালগুলির পরেই দক্ষিণবঙ্গের(South Bengal) যে সরকারি হাসপাতালের গুরুত্ব সব থেকে বেশি সেটি হল বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল(Burdwan Medical College and Hospital)। কেননা দীর্ঘদিন ধরে এই হাসপাতালের পরিষেবার ওপর নির্ভরশীল দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা। এর মধ্যে যেমন দুই বর্ধমান আছে, তেমনি আছে নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলাও। মূলত এর ভৌগলিক অবস্থানের জন্যই এই হাসপাতালে নিত্যদিন ভিড় জমান ৭টি জেলার মানুষ। এবার সেই হাসপাতালেই চালু হতে চলেছে শিশুদের ক্যান্সার ও ব্লাড ক্যান্সারের(Children’s Cancer and Blood Cancer) চিকিৎসা পরিষেবা। আর সেটাও সম্পূর্ণ বিনামূল্যে(Free Treatment)।
রাজ্যে ক্যান্সার আক্রান্ত মানুষদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে ২০ শতাংশই শিশু। অহুব অল্প বয়সী শিশু থেকে শুরু করে কিশোর-কিশোরীদের মধ্যেও হু হু করে এই মারণরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ক্রমশই বেড়ে চলেছে। বিশেষ করে ব্লাড ক্যান্সারের প্রবণতা। দক্ষিণবঙ্গের বুকে যে ৭টি জেলার মানুষ চিকিৎসা পরিষেবার জন্য বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভিড় জমাতেন তাঁদের একটা বড় অংশই এখানেও এসেও ফিরে যেতেন খালি হাতেই। কেননা এতদিন সেখানে শিশুদের ক্যান্সার ও ব্লাড ক্যান্সার রোগের চিকিৎসা পরিষেবা মিলতো না। বাধ্য হয়ে ওই সব রোগীকে অন্য কোথাও রেফার করা হতো। এবার থেকে সেই ছবি বদলে যেতে চলেছে।
বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার থেকে শিশুদের ক্যান্সার ও ব্লাড ক্যান্সার রোগের চিকিতসার জন্য দক্ষিণবঙ্গের ওই ৭টি জেলার মানুষদের আর বাইরে কোথাও যেতে হবে না। এবার থেকে সেই পরিষেবা এই হাসপাতালেই মিলবে। কারণ এই চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া নিয়ে ক্যান কিডসের সঙ্গে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের মউ চুক্তি হয়েছে। এই চিকিৎসার জন্য যে খরচ হবে তা ক্যান কিডস বহন করবে। এর ফলে আমাদের বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে আসা রোগীকে আর বাইরে যেতে হবে না। ঠিকমতো চিকিৎসা হলে এই রোগ নির্মূল হবে বলেই চিকিৎসকদের আশা।