নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা ও জলপাইগুড়ি: ১৫ মিনিটের ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গেল জলপাইগুড়ির বিস্তীর্ণ এলাকা। মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। ঝড়ের এই তান্ডবে জলপাইগুড়িবাসিকে সমবেদনা জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার সন্ধ্যায় সোশ্যাল মাধ্যমে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী(CM) জলপাইগুড়ি ময়নাগুড়ি এলাকায় প্রাণহানি, আহত হওয়া এবং বাড়ি ভেঙে পড়া ও গাছ সহ একাধিক বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী জেলা এবং ব্লকের প্রশাসনিক মহল সহ ডিএমজি এবং কুইক রেসপন্স টিম ও পুলিশ বিভাগকে আপৎকালীন পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
জেলার প্রশাসনিক দপ্তরকে মৃতদের পরিবার এবং আহতদের পরিবারগুলিকে সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী সমস্ত রকম আর্থিক সাহায্য করার নির্দেশ পাঠিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী তার বার্তায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলির পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এবং জেলার প্রশাসনিক কর্তাদের অবিলম্বে এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলির পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন।ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি শহরের ৩ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায়। সেখানে বহু গাছ উপড়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অসংখ্য বাড়ি। জেলাজুড়ে অনেক জায়গাতেই কম-বেশি ঝড়ের তাণ্ডব চললেও সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে জলপাইগুড়ি শহর ও ময়নাগুড়ির বার্নিশ এলাকায়।
জানা গেছে, মৃতের নাম দ্বিজেন্দ্র নারায়ণ সরকার। তিনি মেখলিগঞ্জের (Mekhliganj )বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, যে সময় ঝড় হচ্ছিল সেই সময় গাছের নিচে আশ্রয় নিয়েছিলেন তিনি। এরপরই গাছের ডাল ভেঙে পড়ে তাঁর মাথার উপর। আর সেই ডাল চাপা মারা যান তিনি। জানা গিয়েছে, গতকাল জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের পাশাপাশি ময়নাগুড়িতেও ঝড় ও শিলা বৃষ্টি হয়ছে। প্রায়৫০০ গ্রাম ওজনের শিল পড়েছে বলে খবর। ভেঙেছে বাড়ি ঘর ভেঙেছে। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন মানুষ।আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে, উত্তরবঙ্গে দার্জিলিংয়ের পার্বত্য এলাকায় হালকা তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী দু-তিনদিন এই পরিস্থিতি হতে পারে। মূলত বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে বইবে ঝোড়ো হাওয়া। কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার জেলায় বৃষ্টি বেশি হওয়ার সম্ভাবনা।
তুলনায় কম বৃষ্টি হবে জলপাইগুড়ি ও কালিম্পংয়ে। মঙ্গলবার বেশি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা কালিম্পং এবং জলপাইগুড়ি জেলায়। বিক্ষিপ্তভাবে হালকা বৃষ্টি হতে পারে কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার জেলায়। এই ঘটনায় অন্তত চারজনের মৃত্যু হয়েছে বলে সূত্রের খবর । এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলি তিনি পাশে থাকার আশ্বাসদেন একইসঙ্গে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী(CM)। এদিকে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশে জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে পৌঁছেছেন জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী নির্মল চন্দ্র রায়।