নিজস্ব প্রতিনিধি: নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকে ১১ হাজার বেকার যুবক- যুবতীর হাতে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী (CM) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (MAMATA BANERJEE)। শুধু তাই নয়, তিনি ঘোষণা করলেন, ‘দুয়ারে চাকরি’। এদিন তিনি আরও বলেন, ৬ জেলার প্রায় ১০ হাজার জনের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হবে। এরমধ্যে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর খড়গপুর থেকে ৭ হাজার জনের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হবে। তার মধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা থেকে চাকরি প্রাপকদের সংখ্যা প্রায় ১৭০০ জন। এদিন তিনি বলেন, কারিগরি শিক্ষায় এই রাজ্য মডেল হয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
সোমবার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কন্যাশ্রী-দুর্গাপুজো-শিক্ষা থেকে সংস্কৃতি ও পর্যটন, সবেতেই বাংলা দখল করেছে বিশ্বসেরার মুকুট। বলেন, ‘উৎকর্ষ বাংলা’ নাম আক্ষরিক অর্থেই সার্থক। মঞ্চ থেকেই তাঁর নির্দেশ, ‘চাকরি প্রাপকদের সঙ্গে কারও বন্ধু এলে তাঁরও নাম যেন লিখে রাখা হয়। পরবর্তী জব ফেয়ার অনুষ্ঠানে যেন তাঁদের ডাকা হয়’। বলেন, খড়গপুরের পরে মুর্শিদাবাদ, মালদা, বীরভূম, দুর্গাপুর ও শিলিগুড়িতেও কর্মমেলা অনুষ্ঠিত হবে। সেখান থেকে চাকরি পাবেন প্রায় ৩০ হাজার জন।
বাংলায় ৪০ শতাংশ কর্মসংস্থান বেড়েছে। ৪৫ হাজার মহিলা নিয়োগপত্র পেয়েছেন। পর্যটন এবং পর্যটনকেন্দ্রগুলিতে ‘হোম স্টে’র ক্ষেত্রে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রয়েছে আরও কর্মসংস্থানের সুযোগ। বলেন, বিভিন্ন স্বনির্ভর গোষ্ঠী এবং তাঁতিদেরকে স্কুল ড্রেস সহ বিভিন্ন পোশাকের অর্ডার দেওয়া হয় ৩ বছরের জন্য। তারপরেই বলেন, ‘এই ডাইরেক্ট এমপ্লয়মেন্ট সিস্টেমের ফলে বাংলায় বেকারত্ব কমেছে অনেক। বেড়েছে নিশ্চয়তা।’।
এরপরেই বলেন, রাজ্য জুড়ে এমএসএমই প্রায় ৯০ লক্ষ। তাতে কর্মসংস্থান হয়েছে প্রায় ১ কোটি ৩৬ লক্ষ জনের। ক্লাস্টার রয়েছে ৫৪০টিরও বেশি। ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক রয়েছে ২০০টিরও বেশি। আইটি সেক্টর রয়েছে ২ হাজার ৪০০টিরও বেশি কোম্পানি। তাতে কর্মসংস্থান হয়েছে ২ লক্ষেরও বেশি। সেই সঙ্গে বলেন, বাংলায় দুর্গাপুজোতে গরীব মানুষদের রোজকার ভালো হয়। রাজ্য জুড়ে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা হয়।
চিরাচরিত ভঙ্গিতে এদিনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আক্রমণ করেন বামেদের। বলেন, ৩৪ বছরে সব কিছু তছনছ করে দিয়েছে বামেরা। নতুন করে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, দেউচা পচামি প্রকল্পে ১ লক্ষ কর্মসংস্থান হচ্ছে। যুব সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে এদিন তাঁর বার্তা, সুযোগ পেয়ে চাকরির জন্য রাজ্যের বাইরে গেলেও, পরে ফিরে আসুন দেশের মাটিতে। বলেন, বাংলা উন্নত হয়েছে। অনেক কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। ‘দুয়ারে সরকার’-এর সঙ্গে মিল রেখে তাঁর আশ্বাস, ‘চাকরি আপনার দরজায়, চাকরি এসে ডাকবে’। উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রীর ড্রিম প্রোজেক্টগুলির মধ্যে অন্যতম প্রকল্প ‘জব ফেয়ার’। চাকরিপ্রার্থীদের উদ্দেশে তাঁর বার্তা, জেলায় জেলায় হওয়া জব ফেয়ার গুলিতে অংশগ্রহণ করার।