নিজস্ব প্রতিনিধি: মুখ্যমন্ত্রীরই পরিকল্পনা অনুযায়ী তৈরি হয়েছিল বর্ধমানে ল্যাংচা হাব৷ ২০১৭ সালের এপ্রিলে আসানসোল থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্বোধন করেছিলেন বর্ধমানের মিষ্টি হাবের। বুধবার রাজ্যের বিভিন্ন জেলার প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক চালাকালীন নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী সেই মিষ্টি হাবের খবর নেন। কিন্তু পূর্ব বর্ধমানের(Purba Bardhaman) জেলাশাসক মুখ্যমন্ত্রীকে জানান আপাতত তা বন্ধ। সাধের ল্যাংচা হাব বন্ধ শুনে ক্ষুব্ধ হন মুখ্যমন্ত্রী। এর পর মিষ্টি হাবকে পুনরায় চালু করতে নতুন করে জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে বেশ কিছু পরামর্শও দিয়েছেন তিনি।
এদিন পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) জেলাশাসকের কাছে মুখ্যমন্ত্রী জানতে চান, কেন বন্ধ হয়ে গিয়েছে ল্যাংচা হাব। জবাবে জেলাশাসক জানান, বর্ধমান (Bardhaman) জাতীয় সড়কের পাশে যে ল্যাংচা হাব তৈরি হয়েছিল বহু ল্যাংচা প্রস্তুতকারক সেখানে দোকান নিয়েছিলেন। কিন্তু সেই দোকান চালাতে পারেননি তাঁরা। ব্যবসা লাভজনক না হওয়াতেই মিষ্টি হাব বন্ধ করে দিতে হয়েছে বলে মুখ্যমন্ত্রীকে জানানো হয়৷
এর পর ফের নতুন করে বাংলার বিখ্যাত মিষ্টি নিয়ে হাব চালু করার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। এমনকি ব্যবসায়ীরা তা চালাতে রাজি না হলে মিষ্টির দোকানগুলি স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে দিয়েও মিষ্টি হাব চালুর নির্দেশ দেন তিনি৷ একইসঙ্গে তিরিশ দিনের মধ্যে ইচ্ছুকদের মধ্যে দোকান বিলি করা হোক বলে জানান তিনি। তার পর মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আসলে অনেকের দোকানই তো রাস্তার উপরে রয়েছে। তাই ওরা ভিতরে দোকান করতে চায় না। ওদের বলো, বাইরে যেমন দোকান আছে থাক। হাবের ভিতর দ্বিতীয় দোকানটা করুক।”
বর্ধমানের ২ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে যে মিষ্টি হাব গড়ে তোলা হয়েছিল৷ সেখানে খুব একটা বিক্রিবাটা হত না বলে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ। তারা জানান, কলকাতায় ফেরার পথে মানুষ শক্তিগড়ে দাঁড়িয়ে সীতাভোগ, মিহিদানা, ল্যাংচা কেনাকাটা করেন৷ এর প্পর আর ল্যাংচা হাবে কেউ আসেন না। কারণ শক্তিগড় আগে পড়ে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর আবার নতুন করে মিষ্টি হাব সেজে উঠবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।