নিজস্ব প্রতিনিধি: তফশিলি উপজাতির অন্তর্ভুক্তি এবং কুড়মালি ভাষাকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়ার দাবিতে কুড়মিরা আন্দোলন চালাচ্ছে। সেই আন্দোলন পড়েছে চতুর্থ দিনে। চলছে রেল এবং পথ অবরোধ। তবে ফের মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ালেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আর তাঁর এহেন বক্তব্যের পরেই কুড়মি (KURMI) আন্দোলনকারীদের রোষের মুখে পড়েছেন দিলীপ।
কুড়মি আন্দোলন গণআন্দোলনের রূপ নিয়েছে বলাই যায়। রাজ্য জুড়ে কুড়মি আন্দোলনের প্রভাব পড়েছে পাশের রাজ্য ঝাড়খণ্ডেও। রাজ্যে রেল ও সড়ক পথ কার্যত স্তব্ধ ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর ও পুরুলিয়া জেলায়। আজ কলকাতায় বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। কুড়মিদের দাবির কথা রাজ্য অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতরের সচিব চিঠি লিখে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় আদিবাসী মন্ত্রকে। সেই চিঠি কুড়মি সমাজের নেতৃত্বকে পাঠিয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া (MANAS BHUNIA)। তবে কুড়মিরা আন্দোলন প্রত্যাহারে অনড়। তাঁদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মন্ত্রী ব্যক্তিগত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন তবে প্রশাসন উদাসীন। তাই আন্দোলন চলবে। আরও বলা হয়েছিল, কেন্দ্রীয় সরকার আগে যে সংশোধিত সিআরআই রিপোর্ট চেয়েছে, তা রাজ্য না পাঠানো পর্যন্ত কোনও কথা শোনা হবে না। তা ইতিমধ্যেই পাঠিয়েছে রাজ্য। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কুড়মিদের দাবি আদায়ে রাজ্য সরকার সচেষ্ট।
তবে এরই মাঝে বিতর্কিত মন্তব্য করলেন দিলীপ ঘোষ (DILIP GHOSH)। তিনি বলেছেন, জাতি অন্তর্ভুক্তি বিষয় দেখার জন্য নির্দিষ্ট কমিশন আছে। কুড়মিদের দাবি, ব্রিটিশ সময়ের মত তাঁদের তফশিলি উপজাতির মান্যতা দেওয়ার। তা নিয়ে কমিশন যা সিদ্ধান্ত নেবে তাই হবে। এভাবে রেল বা রাস্তা অবরোধ করে সাধারণ মানুষকে অসুবিধায় ফেলা ঠিক নয়। এর পেছনে রয়েছে তৃণমূল। তিনি বলেন, এভাবে আন্দোলন করা যায় না। বাংলাকে পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
তাঁর এই বক্তব্যের পরেই আন্দোলনে পড়েছে ঘি। কুড়মিদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই আন্দোলন জাতির ও ভাষার দাবিতে। আন্দোলনে কোনও রাজনীতির রং নেই। মিথ্যে ভাবে দাগিয়ে দিয়ে আন্দোলনকে লঘু করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বলা হয়েছে, উনি আদৌ খোঁজ রাখেন না নিজের সংসদীয় এলাকার। কারণ, ‘ওঁর জানা উচিৎ এই আন্দোলন কুড়মিরা করছেন নিজেদের জাতির দাবি আদায়ের জন্য। দুই’ সরকারের কাছেই দাবি জানানো হয়েছে’।