নিজস্ব প্রতিনিধি: বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর দলত্যাগের পর জল্পনা বাড়ালেন আরও এক বিজেপি বিধায়ক। উত্তরবঙ্গে বিজেপির সংগঠনে যে বেসামাল দশা সেটা এখন স্পষ্ট। মহালয়ার দিনই নাটাবাড়ির বিজেপি বিধায়কের বাড়িতে হাজির হলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি। আর বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামীর সঙ্গে তৃণমূল জেলা সভাপতি গিরীন্দ্রনাথ বর্মনের সাক্ষাৎ ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে। যদিও দুজনেই দাবি করেছেন এটা নিছক সৌজন্য সাক্ষাৎ। কিন্তু তবুও থামছে না জল্পনা-কল্পনা। বুধবারই বিজেপি নেতা সব্যসাচী দত্তের মুখে শোনা গেল দিলীপ ঘোষের সমালোচনা। এরপরই সামনে এল দলীয় বিধায়ক বৈঠক করছেন তৃণমূল জেলা সভাপতির সঙ্গে।
একুশের বিধানসভা ভোটের আগেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন মিহির গোস্বামী। বিভিন্ন সময় তিনি তৃণমূল নেতৃত্বকে তোপ দেগে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছিলেন। বিধানসভা ভোটের ঠিক আগেই তিনি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যান এবং নাটাবাড়ি থেকে টিকিট পান। ভোটে জিতলেও কিন্তু বিজেপির কর্মসূচিতে তাঁকে সেভাবে দেখা যাচ্ছিল না। আর দিনহাটায় উপনির্বাচনের আগেই তাঁর বাড়িতে হাজির হলেন কোচবিহার তৃণমূলের জেলা সভাপতি। ফলে রাজনৈতিক দিক থেকে এই সাক্ষাৎকার যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।
দুই নেতার দীর্ঘক্ষণ বৈঠক হল বুধবার। যদিও পরে মিহির গোস্বামী বলেন, গিরীন্দ্রনাথ বর্মন আমার দীর্ঘদিনের সহকর্মী। আমরা একসঙ্গে বহুদিন কাজ করেছি। রাজনৈতিক রঙ পরিবর্তন হলেও কিন্তু সম্পর্ক শেষ হয়ে যায়না। অপরদিকে তৃণমূল জেলা সভাপতির দাবি, মিহির দা বয়েসে আমার থেকে বড়, তাই মহালয়ায় তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলাম। জেলা সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ার পর বিভিন্ন কাজে থাকায় আসতে পারিনি। আজ এসে তাঁর পরামর্শ এবং আশির্বাদ নিয়ে গেলাম।