নিজস্ব প্রতিনিধি: স্কুল ছাত্রীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগে মামলা হয়েছিল ২০১৭ সালে। মাঝে কেটে গিয়েছে চার বছর। এবার সেই মামলায় বেকসুর খালাস পেলেন অভিযুক্ত ব্যক্তি। সোমবার উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে আলিপুর পকসো(POCSO) আদালত বেকসুর খালাস করে দেয় দক্ষিণ কলকাতার এম পি বিড়লা স্কুলে যৌন হেনস্থার(Physical Harassment of Minor Girl) অভিযোগে অভিযুক্ত স্কুলেরই এক কর্মী মনোজ কুমার মান্নাকে।
এম পি বিড়লা স্কুলের এক তিন বছরের ছাত্রীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ ওঠে ওই স্কুলের এক কর্মীর বিরুদ্ধে। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই অভিযোগ ওঠে। এরপর বেহালা থানায় এফআইআর দায়ের করে ওই শিশুর পরিবার। সেই দায়ের হওয়া এফআইআরের ভিত্তিতে অভিযোগের তদন্ত শুরু করে পুলিশ। পরে চার্জশিট, এবং চার্জ গঠনের পর আলিপুর পকসো আদালতে শুরু হয় বিচার প্রক্রিয়া। সোমবার প্রায় চার বছর পর সেই মামলায় রায় জানাল আদালত।
শিশুটির পরিবারের অভিযোগ ছিল, স্কুলের মধ্যেই তিন বছর বয়সী ওই শিশুকে যৌন হেনস্থা করা হয়। ২০১৭ সালে যখন ঘটনাটি ঘটে তখন, এম পি বিড়লা স্কুলের লোয়ার কেজিতে পড়ত ওই শিশু। শিশুটির পরিবারের দাবি প্রথম ঘটনাটি ঘটেছিল ১৪ জুলাই। সেদিন ওই শিশু স্কুল থেকে ফেরার পর বার বার তার যৌনাঙ্গে হাত দিচ্ছিল। ঘটনাটি লক্ষ্য করে তার মা শিশুকে প্রশ্ন করে জানতে পারেন স্কুলের এক কর্মচারী তার গোপনাঙ্গে হাত দেয়। এই নিয়ে স্কুলে অভিযোগ জানাতে গেলে স্কুল কর্তৃপক্ষ বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়নি বলে অভিযোগ। এরপর ১৩ সেপ্টেম্বর। আবার মেয়ে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পর তার স্তনের উপর নখের দাগ দেখা যায় বলে তার মা দাবি করেন। পরে মেয়ের পোশাকে রক্তের দাগও দেখতে পান তিনি। ফের অভিযোগ জানান স্কুলে। কিন্তু তখনও স্কুল কর্তৃপক্ষ অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সারা রাজ্যে তোলপাড় শুরু হয়। শিশুটির পরিবার বেহালা থানায় মামলা রুজু করেন। আদালতের পর্যবেক্ষণ, অভিযুক্ত মনোজকুমার মান্নার বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার পক্ষে কোনও জোরালো প্রমাণ মেলেনি। অবশেষে মামলা দায়ের হওয়ার চার বছর পর অভিযুক্ত স্কুলকর্মীকে বেকসুর খালাস করে দিল আদালত।