নিজস্ব প্রতিনিধি: দেশে আবারও চোখ রাঙাচ্ছে কোভিড(Covid)। ভারতে পা ফেলেছে কোভিডের নয়া ভ্যারিয়েন্ট JN.1। ইতিমধ্যেই তার প্রকোপে কেরলে(Kerala) আক্রান্ত হয়েছেন ১০জন। তাঁদের মধ্যে মারা গিয়েছেন ৫জন। অর্থাৎ মৃত্যুর হার ৫০ শতাংশ। এই অবস্থায় কেন্দ্রের তরফে দেশের প্রতিটি রাজ্যকেই সতর্ক করে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সেই চিঠি এসেছে নবান্নেও। আর তার জেরেই জনমানসে প্রশ্ন উঠেছে, আবারও কী বাংলায়(Bengal) ফিরছে কড়া কোভিডবিধি? ফিরছে কী লকডাউন(Lockdown)? ঘটনা হচ্ছে কোভিড-যুদ্ধে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক Standard Operating Procedure বা SOP জারি করলেও রাজ্যের তরফে এখনও তেমন কোনও নির্দেশিকা জারি হয়নি। কেননা বাংলায় এখনও কোভিডের নয়া ভ্যারিয়েন্ট JN.1’র সন্ধান মেলেনি। তবে তার অর্থ এই নয় যে নবান্ন বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। এই অবস্থায় রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর(Health Department) বার্তা দিল কোভিড নিয়ে।
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রের তরফে সতর্কতা মূলক চিঠি পাওয়ার পরে মঙ্গলবার স্বাস্থ্যভবনে একটি বৈঠক হয়েছে। সেখানে রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এদিন রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্তারা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সঙ্গে আলোচনা করবেন। রাজ্যে কোভিডের নতুন করে মাথাচাড়া না দেওয়ার ঘটনা ঘটলেও কোভিডের নয়া ভ্যারিয়েন্টে রাজ্যের কেউ আক্রান্ত হলে তাঁর চিকিৎসায় যাতে বিন্দুমাত্র কোনও ত্রুটি না থাকে তার জন্য কলকাতার বেলেঘাটা আইডি এবং এম আর বাঙুরে আইসোলেশন ওয়ার্ড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এমনকি এই দুই হাসপাতালে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নির্দেশ মেনে মক ড্রিলও হয়েছে। এই দুটি হাসপাতালে আপাতত কোভিডের চিকিৎসার জন্য আইসোলেশন ওয়ার্ডে যথাক্রমে ৩৩ ও ৩০টি শয্যা বরাদ্দ করাও হয়েছে। সিসিইউ, আইসিইউ শয্যা, মেডিক্যাল অক্সিজেন পাইপ লাইন পরীক্ষাও সেরে ফেলা হয়েছে।
এই অবস্থায় রাজ্যবাসীকে বার্তা দিয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্যদফতর। তাঁরা জানিয়েছে – কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সঙ্গে বুধবার আলোচনা করবে সব রাজ্য। অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রাজ্যে কোনও কোভিড আক্রান্তের সন্ধান মেলেনি। তবে কোভিডবিধি মেনে চলায় গুরুত্ব দেওয়া হতে পারে। কোভিড যাওয়ার ভাইরাস নয়। এই ভাইরাস থেকে যাবেই পরিবেশ। তবে ক্রমশ তার ভয়াবহতা কমবে। মাঝেমধ্যে সংক্রমণ দেখা দেবে। বয়স্ক ও কোমর্বিডিটি থাকলে সুরক্ষা নিতে হবে। শীতে উৎসবের মরশুমে মাস্ক ব্যবহার করা দরকার। শারীরিক দুরত্ব বজায় রাখতে হবে। তাই এখনই লকডাউন বা কড়া কোভিডবিধি লাগুর কথা ভাবা হচ্ছে না।