নিজস্ব প্রতিনিধি, স্বরূপনগর: রাজ্যের সীমান্তবর্তী এলাকায় ক্রমাগত দালাল চক্র সক্রিয় হয়ে উঠছে। সম্প্রতি বসিরহাট, বাদুড়িয়া, হাবড়া সহ সীমান্তবর্তী থানা এলাকা গুলিতে একাধিক দালাল চক্রকে ধরতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। কিন্তু তারপরেও বেআইনিভাবে সীমান্তে পারাপার ও চোরাচালান(Smuggling) করতে সক্রিয় একাধিক চক্র। শুধু তাই নয় বেআইনিভাবে কম বয়সী যুবতী ও মহিলাদের পারাপার করাতে গিয়ে দালাল চক্র তাদের পাচার করছে অথবা দুষ্কর্ম ঘটিয়ে নানা ধরনের অঘটন ঘটাচ্ছে।
মঙ্গলবার ভোরে সীমান্তে এক যুবতীর মুখ পোড়া গলার নলি কাটা দেহ উদ্ধার হয়। যুবতী বাংলাদেশী না ভারতীয় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। সম্প্রতি সীমান্তবর্তী এলাকায় একটি পোল্ট্রি ফার্মে এক যুবতীকে দালাল চক্র গণধর্ষণের ঘটনা ঘটিয়েছিল। ক্রমাগত এই ধরনের অপরাধ বৃদ্ধি পাওয়ায় চিন্তিত প্রশাসন। অথচ সীমান্তবর্তী এলাকার নজরদারি পুরোপুরি বিএসএফের(BSF) এক্তিয়ার ভুক্ত। সেখানে চোরাচালান সহ খুন বনদর্শন এবং নানা ধরনের অপরাধ বৃদ্ধি পাওয়ায় রীতিমতো আতঙ্কিত সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষজন।
উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার অন্তর্গত স্বরূপনগর থানার গোবিন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গুনরাজপুর গ্রামের ঘটনা। আজ সকাল বেলায় একটি কাকরোল খেতে বছর উনিশের এক যুবতীর রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। দেখা যায় দেহের গলার নলিকাটা। পাশাপাশি তার মুখ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। মৃতদেহের পাশ থেকে বাংলাদেশী পরিচয় পত্র, মোবাইল ফোন ও নাম্বার পাওয়া গেছে। এমনকি বাংলাদেশি চশমা উদ্ধার হয়েছে। এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ভারত ও বাংলাদেশ সীমান্তের গোবিন্দপুর গ্রামে। ঘটনাস্থলে স্বরূপনগর থানার(Swarupnagar P.S.) পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলার পুলিশ মর্গে পাঠানো হয়।
প্রাথমিক অনুমান ওই যুবতী রাতের অন্ধকারে সীমান্ত সুরক্ষার নজরে এড়িয়ে এদেশে ঢুকেছিল বা কর্মসূত্রে বোম্বাই থাকা ওই বাংলাদেশি রাতের অন্ধকারে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা করছিল। তাহলে কি দালালের খপ্পরে পড়েছিল। মৃত্যু নিয়ে একাধিক প্রশ্নচিহ্ন । যুবতীর মৃত্যুর ঘটনায় ১১২ নম্বর ব্যাটেলিয়নের সীমান্তের আধিকারিকদের পুরো বিষয়টা স্বরূপনগর থানার পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। বাংলাদেশী পরিচয় পত্র পাওয়ার পর তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছে বিএসএফ ও পুলিশ।