নিজস্ব প্রতিনিধি: তিনি বঙ্গ বিজেপির(Bengal BJP) ২ দফার সভাপতি। তাঁর আমলেই বাংলার মাটিতে বিজেপির বাড়বাড়ন্ত সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছিল। তবুও দলের মধ্যেই তাঁকে বার বার আক্রমণের নিশানায় পড়তে হয়েছে। যারা সেই আক্রমণ চালিয়েছিলেন তাঁদের কেউ ছিলেন বঙ্গ বিজেপিরই প্রাক্তন সভাপতি আবার কেউ বা দলেরই বিপক্ষ শিবিরে। দল তাঁকে দ্বিতীয় দফায় পূর্ণ সময়ে কাজও করতে দেয়নি। মেয়াদ শেষের আগেই তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। অথচ তাঁর পর থেকেই বঙ্গ বিজেপিতে শুরু হয়েছে অবনমন, অবক্ষয়। রাজ্যে হয়ে যাওয়া একের পর এক নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয় ঘটেছে বিজেপির। আর এখন যা অবস্থা কার্যত মুষুলপর্ব শুরু হয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় তিনি দলকেই দিলেন কড়া বার্তা। তিনি বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ(Dilip Ghosh)।
এদিন অর্থাৎ শুক্রবার মেদিনীপুর(Midnapur) শহরে সাত সকালেই চা পে চর্চায় যোগ দেন দিলীপ। সেখানেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে নাম না করেই দলের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীকে কড়া বার্তা দিয়েছেন তিনি। বুঝতে অসুবিধা নেই সেই নিশানায় আছেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার(Sukanta Majumdar) এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী(Suvendu Adhikari)। গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার কলকাতায় মুরলিধর সেন লেনে বিজেপির দলীয় মুখ্য কার্যালয়ে বিজেপি কর্মীদের একাংশের বিক্ষোভে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। সুকান্তের ছবিতে লাথি মারার ঘটনাও ঘটে। সূত্রের দাবি, বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে চলেছে বঙ্গ বিজেপির ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী। এই অবস্থায় মেদিনীপুরের মাটি থেকেই এদিন বেশ কড়া বার্তা পাঠিয়েছেন দিলীপ। যদিও সেই বার্তা বা সতর্কতা বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব কতখানি কানে তুলবে তা নিয়ে বেশ সন্দেহ আছে।
কি বলেছেন দিলীপ? এদিন দিলীপ জানিয়েছেন, ‘সবাইকে সাজা দিয়ে ঠান্ডা করা যাবে না। শাস্তির ভয় দেখিয়ে সমাজ চলে না। যাঁরা আমাদের দলের বিক্ষুব্ধ তাঁরা আমাদের পরিবারের সদস্য। বসে কথা বলা উচিত। আগে কোনওদিন আমাদের দলে এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি। যাঁদের মধ্যে ক্ষোভ-বিক্ষোভ আছে তাঁদের কথা শুনতে হবে।’ দিলীপ কারও নাম নেননি তাঁর বক্তব্যে। কিন্তু বুঝতে অসুবিধা নেই যে সেই কথার লক্ষ্য সুকান্ত ও শুভেন্দু। দুইজনকে ঘিরেই বঙ্গ বিজেপিতে ক্ষোভ ক্রমশ তুঙ্গে উঠছে। বিশেষ করে দলের আদি নেতাকর্মীদের মধ্যে। ক্ষোভ বাড়ছে দলের সমর্থকদের মধ্যেও।