নিজস্ব প্রতিনিধি: জমি বিতর্ককে কেন্দ্র করে বেফাঁস হয়েছেন বিশ্বভারতীর (VISVA BHARATI UNIVERSITY) উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। তাঁর অভিযোগ ছিল, অমর্ত্য সেন বিশ্বভারতীর জমি বেআইনি ভাবে দখল করেছেন। তা ফেরৎ চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ চিঠি দিয়েছেন নোবেলজয়ীকে। অভিযোগ অস্বীকার করে অমর্ত্য সেন সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন তাঁর প্রতিক্রিয়া। এই প্রসঙ্গে এবারে মুখ খুললেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
এদিন ‘রাবীন্দ্রিক’ শব্দ নিয়েও বেফাঁস মন্তব্য করেছেন উপাচার্য। সেই সঙ্গে উপাচার্যের দাবি, তিনি না এলে না কি উপাসনাগৃহে কেউ আসতে চান না! তাঁর দাবি, এভাবে চললে তো উপাসনাগৃহ বন্ধ হয়ে যাবে। বিশ্বভারতীর জমি জবরদখল করে আছেন নোবেলজয়ী, এই অভিযোগ আগেই করেছিলেন তিনি। সম্প্রতি তাঁকে সেই জমি ফেরৎ চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এই প্রসঙ্গে অমর্ত্য সেন বলেন, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে। ওঁদের রুচিতে এমনই মানায়। তিনি বলেন, চিঠির জবাব দেবেন আইনজীবী। বুধবার সকালে এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ।
আরও পড়ুন: রাবীন্দ্রিক আসলে স্বার্থ চরিতার্থ করার সিঁড়ি, বেলাগাম বিদ্যুৎ চক্রবর্তী
প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে তিনি বলেন, অমর্ত্য সেন আইকন। তাঁর মত ব্যক্তিত্বের নাম এমন ছোটখাটো বিতর্কে জড়ানো উচিৎ নয়। বলেন, ওঁর টাকার অভাব নেই। এই সব বিতর্ক এড়িয়ে চলা উচিৎ। প্রসঙ্গত, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের মন্তব্যের বিরোধিতা করে সরব হয়েছেন পড়ুয়া, আশ্রমিক থেকে প্রাক্তনীরা।