নিজস্ব প্রতিনিধি: দিলীপ আছেন সেই দিলীপেই। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষকে নিয়ে এমনই মন্তব্য বিজেপি বিরোধীদের। এতদিন নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনের (AMARTYA SEN) ‘প্রতীচী’ বাড়ির ১৩ ডেসিমেল জায়গা বিতর্কে সুর নরম ছিল দিলীপের। ফের বেলাগাম হলেন তিনি। অবশ্য লাগামছাড়া মন্তব্য করার জন্য তাঁর সুনাম বা দুর্নাম চির পরিচিত। তৃণমূলের কটাক্ষ, উল্টো পাল্টা মন্তব্য করে এভাবেই রাজনীতিতে ভেসে থাকার চেষ্টা করেন দিলীপ।
এতদিন বিশ্বভারতী ও ‘প্রতীচী’ জমি বিতর্কে সুর নরম ছিল দিলীপের। তবে গত শনিবার খবর এসেছে, বীরভূম জেলা সফরে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেতে পারেন নোবেলজয়ীর বাড়িতে। আর এতেই কি মেজাজ হারালেন দিলীপ?
রবিবার দিলীপ সরাসরি বলেন, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ বিশ্বভারতীর জমি দখল করে রেখেছেন। বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে তবুও চোখ রাঙাচ্ছেন। তৃণমূল পাশে দাঁড়িয়েছে অমর্ত্য সেনের। এই প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, ‘চোরে চোরে মাসতুতো ভাই’। বলেন, সব জমি চোরেরা এক হয়ে গিয়েছেন।
দিলীপ উবাচ, ‘মোদি হঠাও দেশ বাঁচাও’ বা ‘দিদিকে প্রধানমন্ত্রী করতে হবে’- যারা বলেছিলেন তাঁরা এখন সরে গেছেন। বলেন, এজন্যই এখন অমর্ত্য সেনের সার্টিফিকেট নিতে হচ্ছে। তাঁর দাবি, ওঁকে কেউ পাত্তা দেয় না।
বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতির এমন বেলাগাম মন্তব্যের পরে তৃণমূলের পক্ষ থেকে রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, ভুলভাল বকেই রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক থাকার চেষ্টা করেন দিলীপ। তিনি বলেন, বিজেপি এবং দিলীপ ঘোষের দাবি অমর্ত্য সেন নোবেল পাননি, কিন্তু ভুয়ো এই দাবিতে বঙ্গবাসীর কিছু এসে যায় না। পদ্মশিবির বাদে সকলে সত্যিটা জানেন। শান্তনুর দাবি, বারবার বেলাগাম ও মিথ্যে মন্তব্য করার জন্যই জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে বিজেপিকে। তৃণমূল সাংসদ আরও বলেন, বিজেপি মানেই বাংলা ও বাঙালি বিরোধী।