নিজস্ব প্রতিনিধি: বিধানসভা নির্বাচনের আগে একটা কথা খুব জনপ্রিয় ছিল বিজেপি বিরোধী শিবিরগুলিতে। বলা হত, ‘যে দলে দিলীপ, ষে দলের পতন নিয়ে ভাবতে হবে না’। বিধানসভা নির্বাচনে ফলেও দেখা গিয়েছিল তাই। দিলীপ ঘোষের হুমকি শুনে জনগণ আর বঙ্গে আনার সাহস দেখায়নি বিজেপিকে। তারপর গেরুয়া শিবির একাধিক অন্তর্দ্বন্দ্বে জীর্ণ। ধোপে টেকেনি ‘বাংলা প্রেম’। কেন্দ্র তাঁকে সেন্সর করেছিল। তারপর সম্প্রতি তাঁর বেফাঁস মন্তব্যের জন্য ফের তাঁর বিরুদ্ধে রিপোর্ট তলব করেছিল কেন্দ্র বিজেপি। তারপর সিবিআই প্রসঙ্গে শুক্রবার সুর নরম হয়েছিল দিলীপের (DILIP GHOSH)। ফের শুক্রবারেই আবার অন্য প্রসঙ্গে লাগাম ছাড়া দিলীপ। বিরোধী শিবির আবারও হেসে বলছে, ‘দিলীপ আছেন সেই দিলীপেই’। হুমকি দিলেন, পিঠের চামড়া গুটিয়ে নেওয়া থেকে হাসপাতালে জায়গা না পাওয়া যাওয়ার। হুঁশিয়ারি, পুলিশও বাঁচাতে আসবে না।
আজই কেন্দ্রের ‘দাবড়ানি’তে সিবিআই ইস্যুতে সুর নরম করেছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সম্প্রতি রাজ্যের বৈঠকে ‘ভ্যানিশ’ ছিলেন দিলীপ। আর তারপরেই আজই ফের মেখের লাগাম খুলে বিস্ফোরক হলেন তিনি। প্রকাশ্যে জোড়াফুল শিবিরকে হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি। বলেলেন, পাবলিকের মার একটাও বাইরে পড়বে না। আরও বলেন, ‘সব হিসেব হবে, সুদে আসলে হিসেব হবে’।
এদিন তিনি বলেন, সবে হাত পাকানো শুরু হয়েছে। এবারে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার জায়গা পাওয়া যাবে না। কোনও পুলিশ বাঁচাতে আসবে না। তাঁর হুঁশিয়ারি, ভারতবর্ষ জুড়ে শক্তি যুদ্ধ শুরু হয়েছে। এই যুদ্ধে অনেকেই আহুতি শুরু হয়ে যাবে। বলেন, ‘সিবিআই ঠিক করেছে ১ কুইন্ট্যালের নিচে কাওকে তোলা হবে না’। তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়কে কটাক্ষ করে তিনি পাল্টা আক্রমণ শানাতে গিয়ে ফের বেলাগাম দিলীপ। বিজেপির রাজ্য সভাপতি থাকা কালীন তিনি যা ছিলেন সর্বভারতীয় সহ সভাপতি হয়েও তিনি তাই। আর বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দল গুলির তাঁর এই বক্তব্য প্রসঙ্গে বলছে, ‘দিলীপ আছে দিলীপেই’। তাঁর এমন বক্তব্যে ফের অস্বস্তিতে বঙ্গ বিজেপি। দলেও তাঁর বিরুদ্ধে ফের শুরু হয়েছে গুঞ্জন। পদ্মশিবিরের একাংশের অসন্তোষ, ‘তবে কি পঞ্চায়েত আর লোকসভাতেও দলকে দায়িত্ব নিয়ে ডোবাবেন দিলীপ?’