নিজস্ব প্রতিনিধি: ১০০ বছর বয়স পেরিয়ে থেমেছেন ঠাকুমা। আর বয়সে সেঞ্চুরি করে মৃত্যুবরণ করায় ঠাকুমার শবদেহ নিয়ে রীতিমতো ব্যান্ড বাজিয়ে শেষযাত্রা করল নাতি নাতনিরা। এমন অভাবনীয় দৃশ্যের সাক্ষী থাকলেন জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) রাজগঞ্জের বাসিন্দারা।
জলপাইগুড়ি জেলার (Jalpaiguri) রাজগঞ্জের পানিকৌড়ির দুর্বাগছ এলাকার বাসিন্দা মালতি সরকার। যদিও তাঁর বয়সের সঠিক হিসেব কারও জানা নেই। অনেকের মতে তাঁর বয়স এখন ১০৪ বছর। কেউ আবার বলেন ১১২ বছর বয়স ওই বৃদ্ধার। আবার অন্য আর এক পক্ষের মত, মালতি সরকারের প্রকৃত বয়স ১১৩ বছর। তবে প্রত্যেকের দাবি মালতিদেবী ১০০ বছর পেরিয়ে গিয়েছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সংসার ভর্তি ছেলে-পুলে, নাতি-নাতনি ও পরিজনদের নিয়ে সুখে সংসার করছিলেন মালতিদেবী। অবশেষে দীর্ঘ জীবন যাত্রা থেমে যায় রবিবার। ওই দিন শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। আর তাঁর মৃত্যুর পরই মালতিদেবীর নশ্বর দেহ দাহ করার জন্য তোড়জোড় শুরু করে দেয় পরিজনরা। শ্মশান যাত্রায় আয়োজন করা হয় সাউন্ড বক্স, ডিজে-সহ ব্যান্ডের। হই হুল্লোড় করে তাঁকে চিরবিদায় জানানো হয়। সেই যাত্রায় সামিল হন বহু মানুষ। কীর্তনের বদলে এই ভাবে ডিজে বাজিয়ে শেষকৃত্যের খবর ছড়িয়ে পড়তে শোরগোল পড়ে যায়। ওই বৃদ্ধার পরিবারের দাবি, মালতিদেবীর শেষ ইচ্ছে ছিল এমনটাই। কেউ যেন তাঁর মৃত্যুতে শোকবিহ্বল না হন।
মৃত বৃদ্ধার নাতি পিন্টু সরকার ও ভোলা সরকার বললেন, ঠাকুমার শেষ ইচ্ছে ছিল তাঁর শ্মশানযাত্রায় যেন কেউ কান্নাকাটি বা মনখারাপ না করে। আর সেই কারণেই এই আয়োজন পরিবারের। বৃদ্ধার শেষ ইচ্ছেকে সম্মান জানিয়েই এই আয়োজন করা হয়েছে বলে জানান তাঁরা।