নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যের পঞ্চায়েত স্তরের বিভিন্ন কাজে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। পঞ্চায়েত স্তরের কাজে দুর্নীতি রুখতে ইতিমধ্যে নজরদারি চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নবান্ন। তারই রেশ ধরে এবার আইএএস ও ডব্লিউবিসিএস অফিসারদের পঞ্চায়েত স্তরের বিভিন্ন কাজে নজরদারি চালানোর জন্য রোস্টার করে দিলেন পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক এস অরুণ প্রসাদ। ২৭ জন আধিকারিককে কাজের জন্য রোস্টার করে দিয়েছেন জেলাশাসক।
জানা গিয়েছে, পশ্চিম বর্ধমান জেলার ৬২টি গ্রাম পঞ্চায়েত এবং আটটি পঞ্চায়েত সমিতিতে সমস্ত কাজ পর্যবেক্ষণ করা এবং খতিয়ে দেখার দায়িত্ব বর্তেছে তাঁদের উপর। এঁদের মধ্যে রয়েছেন চার জন অতিরিক্ত জেলাশাসক, দু’জন মহকুমাশাসক, ডিআরডিসি, ডেপুটি ডিএলআরও ও জেলা কল্যাণ আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, আট জন আধিকারিক আটটি পঞ্চায়েত সমিতি দেখবেন এবং সেই সঙ্গে প্রত্যেক আধিকারিককে দুটি অথবা তিনটি করে গ্রাম পঞ্চায়েত দেখতে হবে। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, দুর্গাপুজোর আগেই কাজ শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পঞ্চায়েত স্তরে কাজ খতিয়ে দেখার পর জেলাশাসকের কাছে রিপোর্ট জমা দিতে হবে।
উল্লেখ্য পঞ্চায়েত স্তরের কাজে দুর্নীতি রুখতে নিয়মিত নজরদারি চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। নজরদারি চালাতে ডিভিশনাল কমিশনার, জেলাশাসক, মহকুমা শাসক এবং বিডিওদের কাজে লাগাতে চায় নবান্ন। ইতিমধ্যে এই কাজের জন্য পোর্টাল তৈরি করেছে নবান্ন। রাজ্যের পঞ্চায়েত সচিব পি উল্গানাথন ডিভিশনাল কমিশনার ও জেলাশাসকদের চিঠি দিয়ে এই নজরদারি চালানোর বিষয়ে জানিয়েছিলেন। কোন পদ মর্যাদার আধিকারিককে কী কাজ করতে হবে চিঠিতে সেই পরিদর্শনের কাজ নিয়ে স্পষ্ট করে বলে দিয়েছিলেন পঞ্চায়েত সচিব।