নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বাইরে পড়ছে মুষলধারে বৃষ্টি। তবে বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে স্কুলে পরীক্ষা দিতে আসছে পড়ুয়ারা। কিন্তু পড়ুয়ারা এলেও আসেনি পরীক্ষকেরা। এমনই ঘটনা ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর এক নম্বর ব্লকের নবীন মহেশপুর কৃষ্ণনগর কামিনী বালা উচ্চ বিদ্যালয়ে। আর সেই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে যায় পড়ুয়া থেমে শুরু করে অভিভাবকেরা। তাই শুক্রবার সকাল হতেই তারা নবীন মহেশপুর কৃষ্ণনগর কামিনী বালা উচ্চ বিদ্যালয়ে এসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে।
গত ৭ই ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে শুরু হয় দিনভর বৃষ্টি। প্রাকৃতিক দুর্যোগকে মাথায় নিয়েই স্কুলে যায় ছাত্রছাত্রীরা। কিন্তু কোন নোটিস ছাড়াই স্কুলে যায়নি শিক্ষকেরা। তাই বাধ্য হয়েই পরীক্ষা দিতে গিয়ে ফিরে আসতে হয় ছাত্র ছাত্রীদের। এই ঘটনা নিয়ে অভিভাবকরা প্রশ্ন তুলেছেন,বাইরে বৃষ্টির নিয়ে ছাত্রছাত্রীরা যদি পরীক্ষা দিতে আসতে পারে তাহলে ১৭ জন শিক্ষকরা কেন আসতে পারলেন না। সেই প্রশ্ন তুলেই বিক্ষোভ করা শুরু করে অভিভাবকেরা।
এই ঘটনার পর কৃষ্ণনগর কামিনী বালা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক জানিয়েছেন,’ওই ১৭ জনের মধ্যে ৪ জন ছিল শিক্ষক। তবে আমি অসুস্থ থাকায় আসতে পারি নি। কিন্তু আমরা বেশ কয়েকজন পড়ুয়াদের জানিয়ে দিয়েছিলাম স্কুল বন্ধের কথা।‘ তবে , তারা যে পরীক্ষা বাতিল নিয়ে কোন নোটিস দেয়নি তা এদিনই প্রধান শিক্ষকের বক্তব্যের মাধ্যমে বোঝা যায়। একথায় তাদের এই গাফিলতির কথা স্বীকার করে নেন বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক ।