এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

কেন্দ্রের শর্তের চাপে বাংলায় বন্ধ ২.৮১ লক্ষ স্কিমের কাজ

নিজস্ব প্রতিনিধি: কথায় বলে ঠ্যালার নাম বাবাজি। কার্যত সেটাই এখন দেখা যাচ্ছে বাংলার(Bengal) বুকে। ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে কেন্দ্র সরকার রাজ্যের ঘাড়ে যে সব শর্ত চাপিয়েছে তার জেরে এখন সেই সব শর্ত মানতে গিয়ে বাংলার বুকে ২.৮১ লক্ষ স্কিমের কাজ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে রাজ্য সরকার। গত ৫ মাসে এই সব কাজ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে নবান্ন(Nabanna)। এমনই তথ্য এবার সামনে এল। চলতি অর্থবর্ষের(Financial Year) ন’মাস কেটে ১০ মাস শুরু হয়ে গিয়েছে। তারপরেও এখনও পর্যন্ত বাংলার জন্য ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে কোনও শ্রমদিবস বরাদ্দ করেনি কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন মোদি সরকার(Modi Government)। সেই সঙ্গে এই প্রকল্পে প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা আটকে রেখেছে তাঁরা। এ বিষয়ে কেন্দ্র-রাজ্যের চাপানউতোরের মধ্যেই নয়া শর্ত চাপিয়ে গ্রামবাংলার উন্নয়নে আরও একবার কোপ বসিয়েছে মোদি সরকার। যার জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে ২.৮১ লক্ষ স্কিমের কাজ।

আরও পড়ুন প্যান কার্ড নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত মোদি সরকারের

নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে কেন্দ্র সরক্লার ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে বেশ কিছু নয়া শর্ত আরোপ করে। ওইসব শর্তে বলা হয়েছে, ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে একটি গ্রাম পঞ্চায়েতে একসঙ্গে ২০টির বেশি স্কিমের কাজ করা যাবে না। একটি পঞ্চায়েতে এককালীন সর্বাধিক ২০টি স্কিমের কাজ করা যাবে। ১০০ দিনের কাজের বরাদ্দ এবং বকেয়া টাকা পেতে গেলে এই নির্দেশিকা মেনে চলতেই হবে। কেন্দ্রের সেই চিঠি পেয়েই নড়েচড়ে বসতে বাধ্য হয় নবান্ন। সেই সময় বাংলার বুকে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প(MGNREGA) বা মহাত্মা গান্ধী ন্যাশনাল রুরাল এমপ্লয়মেন্ট গ্যারান্টি অ্যাক্টের অধীনে ১৪.৩৮ লক্ষটি স্কিমের কাজ চলছিল। কিন্তু কেন্দ্রের সেই চিঠির জেরে একপ্রকার বাধ্য হয়েই রাজ্য সরকার সমীক্ষা শুরু করে কোন কোন কাজ বন্ধ করে দেওয়া সম্ভব, তা চিহ্নিত করতে। সেই সমীক্ষা শেষে পুকুর কাটা, সোকপিট তৈরি, খাল সংস্কারের মতো ২.৮১ লক্ষ স্কিম চিহ্নিত করা হয় ও সেগুলির কাজ রাজ্য সরকার বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়।

আরও পড়ুন বাংলাকে প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকার ঋণ কেন্দ্রের

সব থেকে বড় কথা বাকি যে সব স্কিমের কাজ বজায় রাখা হচ্ছিল সেগুলির কাজও এখন মাঝপথে থমকে দাঁড়িয়েছে। রাজ্যে এখন এমন স্কিমের সংখ্যা ১১.৫৭ লক্ষ। সামগ্রী বাবদ খরচ এবং বরাদ্দ শ্রমদিবসের সংখ্যা নিশ্চিত করলেই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করা যাবে কাজগুলি। রাজ্যের তরফে কেন্দ্রকে যে চিঠি দেওয়া হয়েছে, তাতেও বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু সেই চিঠির আবার কোনও উত্তর এখনও পায়নি নবান্ন। কিন্তু ঘটনা হচ্ছে, কেন্দ্র সরকার যখন গত বছর জানিয়েছিল যে একটি পঞ্চায়েতে এককালীন সর্বাধিক ২০টির বেশি স্কিমের কাজ করা যাবে না তখন কিন্তু বাংলার পাশাপাশি দেশের আরও বেশ কিছু রাজ্যের তরফেও আপত্তি জানানো হয়। কেননা, কেন্দ্রের যুক্তি ছিল সঠিক মানদণ্ড বজায় রেখে প্রকল্পের কাজ চালাতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু ঘটনা কাজ কমালেই যে মানদণ্ড ঠিক থাকবে, এই চিন্তাভাবনা ঠিক নয়। বাংলা সহ দেশের আরও বেশ কিছু রাজ্যের সেই আপত্তির জেরে কেরলের জন্য একটি গ্রাম পঞ্চায়েতে এককালীন চলা কাজের সংখ্যা ২০ থেকে বাড়িয়ে ৫০ করেছে কেন্দ্র। কিন্তু বাংলার জন্য তা আর বাড়ানো হয়নি। সেটা এখনও ২০ করেই রাখা হয়েছে। অথচ কেরলের মতো সেটিও ৫০ করে দিলে যে সব কাজ বাকি আছে বা বাদ পড়েছিল সেগুলি অনায়াসে শেষ হয়ে যেতে পারে। এখন দেখার বিষয় বাংলার তরফে যে আবেদন কেন্দ্রের কাছে পাঠানো হয়েছে তা নিয়ে মোদি সরকার কোনও সিদ্ধান্ত নেয় কিনা।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

খাদ্য দফতরে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা, গ্রেফতার ২

প্রয়াত চন্দননগরের প্রাক্তন বিধায়ক ও মেয়র অশোক সাউ

ফারাক্কা সেতুতে উত্তরবঙ্গগামী ট্রাকে আগুন, বন্ধ যান চলাচল

বালি  ব্রিজ থেকে গঙ্গায়  ঝাঁপ যুবকের, শুরু তল্লাশি

কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে আরও বাড়বে গরম, জারি তাপপ্রবাহের সতর্কতা

ভগবানগোলাতে অনুষ্ঠান বাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে জখম একাধিক শিশুসহ ১৩ জন

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর