এই মুহূর্তে

দুর্যোগের জেরেও কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে শস্যবিমায় জোর, জেলায় জেলায় হবে শিবির

Courtesy - Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: অতি বৃষ্টিতে(Heavy Rain) দক্ষিণবঙ্গের বহু জমি জলের তলায় রয়েছে। একই অবস্থা উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রেও। আর তাই বাংলাজুড়ে চাষে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন চাষিরা(Farmers)। তাই তাঁদের পাশে দাঁড়াতে শস্যবিমা(Crop Insurance) করার ক্ষেত্রে জোর দিচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) নেতৃত্বাধীন মা-মাটি-মানুষের সরকার। রাজ্য সরকারের(West Bengal State Government) পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে চলতি মাসেই জেলায় জেলায় বসবে শস্যবিমার শিবির। প্রয়োজনে যা সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি অবধি টেনে নিয়ে যাওয়া হবে। নবান্নে তরফে রাজ্যের সমস্ত চাষিকেই বিমা করানোর টার্গেট নেওয়া হয়েছে। জেলাগুলির ব্লক অফিসের পাশাপাশি অন্য কোথাও ক্যাম্প করা যায় কি না, তা নিয়েও আলোচনা চলছে।

আরও পড়ুন পার্থ’র সেচ পেলেন মানস, কদর বাড়লো বাবুল-চন্দ্রিমার, গুরুত্ব হারালেন রব্বানি

নিম্নচাপ এবং বর্ষার বৃষ্টির জন্য বাংলার(Bengal) প্রায় সব জেলাতেই নীচু জমিতে জল দাঁড়িয়ে গিয়েছে। আর তার জেরে ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন চাষীরা। সেই উদ্বেগের খবর কানে গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীরও। আর তাই তিনি নির্দেশ দিয়েছেন যত দ্রুত সম্ভব ক্ষতিগ্রস্থ চাষীদের বাংলা শস্য বিমার(Bangla Sashya Bima) আওতায় নিয়ে আসা হয়। চাষিরা ধান রোপণের কাজে ব্যস্ত রয়েছেন। সেই কারণেই মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে বিমা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এবছর বেশি সংখ্যক চাষি আলু চাষে বিমা করেছিলেন। তাঁর সুফল তাঁরা পেয়েছেন। ১০০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ রাজ্যের চাষিরা পেয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত ধান চাষিরাও যাতে ক্ষতিপূরণ পান তার জন্য জেলায় জেলায়, ব্লকে ব্লকে শিবির করার ওপর জোর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার প্রতিটি জেলাতেই বেশি সংখ্যক চাষিকে বিমা করানোর টার্গেট নেওয়া হয়েছে। কবে কোথায় ক্যাম্প হবে, তা জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা বৈঠকে বসে ঠিক করবেন। সমস্ত পঞ্চায়েত এলাকায় মাইকে প্রচারও করা হবে।

আরও পড়ুন সরকারি আধিকারিকদের সশরীরে হাজির হয়ে সাক্ষ্য দেওয়া আর বাধ্যতামূলক নয়, রায় হাইকোর্টের

রাজ্যে এক সময় শস্য বিমা করার ক্ষেত্রে চাষিদের মধ্যে প্রবল অনীহা ছিল। রাজ্য সরকার কিন্তু শস্য বিমার জন্য ব্লকে ব্লকে শিবির করতো। কিন্তু সেই সব শিবিরে আসতেন না চাষীরা। কিন্তু বিগত কয়েক বছরে চাষিরা মোটা অঙ্কের টাকা ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন। তারপর থেকেই বিমা করার প্রবণতা বেড়ে গিয়েছে। রাজ্যের মধ্যে পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদের মতো জেলাগুলিতে বিমা করার জন্য চাষিদের ঝোঁক বেশি রয়েছে। এবছর বৃষ্টি দেরিতে শুরু হওয়ায় চাষ পিছিয়ে গিয়েছে। এখনও বহু জমি জলের তলায় রয়েছে। সেই জমিগুলিতে জল না নামা পর্যন্ত চাষ করা সম্ভব নয়। বহু জমির ধান নষ্ট হয়ে গিয়েছে। দু’বার চাষের জন্য পর্যাপ্ত বীজ নেই। ওই জমিগুলিতে আদৌ চাষ করা সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। ১৫ আগস্টের মধ্যে ধান বীজ রোপণ করলে ফলন ভালো হয়। তারপর চাষ হলে ধানের ফলন অনেকটাই কমে যায়। ওই সময়ের মধ্যে সব জমিতে ধান রোপণ করা সম্ভব হবে না। এখন যেহেতু বাংলা শস্য বিমাও চাষিদের কাছে ভরসার জায়গা হয়ে উঠেছে তাই রাজ্যের আধিকারিকদের আশা জেলায় জেলায় ও ব্লকে ব্লকে শিবির করলে চাষীদের কাছ থেকে ভালো সাড়া পাওয়া যাবে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

নির্জন শ্মশানে আয়োজন হয় ১৫ রকমের ভূতের পুজোর, আঁধার নামলেই শুনশান এলাকা

কালিয়াচকে ৭২ ঘন্টার মধ্যে তৃণমূল কর্মী খুনে মূল অভিযুক্ত গ্রেফতার

‘ধর্ষকদের সমাজে কোনও জায়গা নেই’, গুড়াপ কাণ্ডে চরম সাজার পর প্রতিক্রিয়া মমতার

জন্মদিনে মিলল ন্যায়বিচার ! গুড়াপে শিশু ধর্ষণ-খুন মামলায় দোষীর ফাঁসির সাজা

পাচার চক্রের পর্দা ফাঁস ! উদ্ধার ১১টি হরিণের শিং ও প্যাঙ্গোলিনের আঁশ

কাঁকড়া ধরতে যাওয়াই কাল, বাঘের হামলায় বেঘোরে প্রাণ গেল মৎস্যজীবীর

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর