নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার বুকে চিটফান্ড কাণ্ডে বড় পদক্ষেপ করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা Enforcement Directorate বা ED। Rose Valley সংস্থার ২৫০ কোটি টাকার সম্পত্তি ক্রোক বা Attachment করল তাঁরা। এই ২৫০ কোটি টাকার সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে জমি, বাড়ি, গাড়ি সহ বিভিন্ন স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি। এগুলি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তদন্ত চলছিল। সমস্ত নথি ও তথ্যপ্রমাণ হাতে আসার পরই সম্পত্তি(Property) ক্রোক করা হয়েছে বলে দাবি তদন্তকারী সংস্থার। এখন থেকে এই সম্পত্তি আর বিক্রি বা হাতবদল করা যাবে না। পরবর্তী ধাপে এগুলি নিলাম করা হবে বলে জানা গিয়েছে। এনিয়ে এখনও পর্যন্ত এই সংস্থার ১,১৭১ কোটি টাকার বেশি সম্পত্তি ক্রোক করল ED।
আরও পড়ুন RIDF’র মাধ্যমে গ্রাম বাংলায় আরও হাজার কিমির রাস্তা গড়বে রাজ্য
Rose Valley’র মালিক গৌতম কুণ্ডু(Goutam Kundu) নামে-বেনামে একাধিক সম্পত্তি করেছিলেন। বাংলা ছাড়াও দেশের অনান্য রাজ্যেও সম্পত্তি কিনেছিলেন তিনি। এই সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্তে নেমে সম্প্রতি ED’র আধিকারিকেরা জানতে পারেন নজর এড়িয়ে ইতিমধ্যেই সেই সব সম্পত্তির একটা বড় অংশই হাতবদল হয়ে গিয়েছে। বাদ বাকি যা আছে সেগুলিও বিক্রি করে দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেই কারণে Rose Valley’র নামে থাকা বিভিন্ন সম্পত্তির খোঁজ শুরু হয়। তা করতে গিয়ে কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পত্তির সন্ধান পান তদন্তকারীরা। এর মধ্যে ছিল বাড়ি, অফিস, হোটেল ও ফাঁকা জমি। বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা এই জমিগুলির বিষয়ে তথ্য চেয়ে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিকে চিঠি দেওয়া হয় ED’র তরফে। চেয়ে পাঠানো হয় নথিও। সেই সব নথি হাতে আসার পরে তা খতিয়ে দেখে তদন্তকারীরা জানতে পারেন, সম্পত্তির পূর্বতন মালিককে টাকা মেটানো হয়েছে Rose Valley’র একাধিক Bank Account থেকে।
আরও পড়ুন ১৯৮টি পদে লোক নিচ্ছে রাজ্যের বিদ্যুৎ বণ্টন পর্ষদ
এর পাশাপাশি কয়েকটি বিলাসবহুল গাড়ি বাজেয়াপ্ত করার পর জানা যায়, সেগুলিও Rose Valley’র টাকায় কেনা। সংশ্লিষ্ট ডিলারের কাছ থেকে গাড়িগুলির নথিও চেয়ে নেওয়া হয়। সেগুলি বিশ্লেষণ করেও দেখা যায়, Rose Valley’র নামে খোলা বিভিন্ন Bank Account থেকে টাকা মেটানো হয়েছে। তখন তদন্তকারীরা নিশ্চিত হন, আমানতকারীদের টাকাতেই এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি করেন গৌতম কুণ্ডু। যদিও তিনি জেরায় এই সম্পত্তির বিষয়ে কিছুই জানাননি বলে দাবি ED’র আধিকারিকেরা। Rose Valley’র কর্তার ঘনিষ্ঠরা এই সম্পত্তিগুলি হাতবদলের চেষ্টাও চালাচ্ছিলেন। তখন স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তিগুলি চিহ্নিত করে মূল্যায়ন করা হয়। দেখা যায়, সব মিলিয়ে এর পরিমাণ ২৫০ কোটি টাকারও বেশি। এই পরিমাণ সম্পত্তিই এবার ক্রোক করা হয়েছে।