নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যের বেসরকারি স্কুলগুলিতে (PRIVATE SCHOOL) নজরদারি চালাবে শিক্ষা কমিশন। এমনটাই ভাবছে রাজ্য শিক্ষা দফতর। এই পরিকল্পনা শিক্ষামন্ত্রী (EDUCATION MINISTER) ব্রাত্য বসুর (BRATYA BASU)। তিনি নিজেই জানিয়েছেন এই কথা। আপাতত বিষয়টি ভাবনাচিন্তার স্তরে আছে।ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, বেসরকারি স্কুল নিয়ে যাবতীয় অভিযোগ জানানো যাবে কমিশনে।
রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, শিক্ষা কমিশনের (EDUCATION COMMISSION) এই বিষয়টি এখনও পরিকল্পনা স্তরে রয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, শিক্ষা কমিশন হলে রাজ্যের বেসরকারি স্কুলগুলিতে নজরদারি চালাবে কমিশন। কমিশনের শীর্ষে থাকবেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি। স্কুল নিয়ে যাবতীয় অভিযোগ জানানো যাবে কমিশনে। সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে। জানা গিয়েছে, ফি বৃদ্ধি সহ বিভিন্ন অভিযোগ জানানো যাবে শিক্ষা কমিশনের কাছে।
উল্লেখ্য, রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য পদে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাস্থ্য, কৃষি, প্রাণী এবং মৎস্য বিজ্ঞানের বিশ্ববিদ্যালয় গুলিরও আচার্য মুখ্যমন্ত্রী। শুধু তাই নয়, রাজ্য সরকারের সাহায্য প্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয় গুলির আচার্য পদেও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। এমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে রাজ্যের মন্ত্রিসভার বৈঠকে। সোমবার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রিসভা। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদে আর রাজ্যপাল নয়, এবার থেকে এই পদের দায়িত্বে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির পরিদর্শক এতদিন পর্যন্ত ছিলেন রাজ্যপাল। এবার থেকে সেই দায়িত্ব সামলাবেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। উল্লেখ্য, উল্লেখ্য কেরালা ও তামিলনাড়ুতে একই রকম বিল বিধানসভায় পেশ করেছে সেখানকার সরকার। অর্থাৎ সেখানেও সেখানকার রাজ্য সরকারের অধীনে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে আচার্য পদে আর রাজ্যপালকে রাখা হচ্ছে না। সেখানে ওই সব বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদে সেখানকার মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়োগ করা হচ্ছে। কার্যত পদাধিকারবলেই সেই নিয়োগ হচ্ছে। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছিলেন যে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পুঞ্চি কমিশন ২০১০ সালে এই ব্যাপারে সুপারিশ করেছিল। তখন বিরোধীদের পক্ষ থেকে সংসদে স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য রাজনাথ সিং সমস্ত রাজ্যকে এই সুপারিশ কার্যকর করার কথা বলেছিলেন। এখন সেই নীতিই নেওয়া হচ্ছে। সূত্রের খবর এই পরিবর্তনে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় রাজি না হলে রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে অর্ডিন্যান্স আনার পথও খোলা রাখা হচ্ছে।