নিজস্ব প্রতিনিধি: হাতির (Elephant) রহস্য মৃত্যুকে (Death) কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়। কালিম্পংয়ের রোয়াম রেঞ্জের ঘটনা। এই ঘটনায় এলাকা জুড়ে ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। বনকর্মীরা নিয়মমাফিক টহল দেওয়ার সময় দেখতে পায় হাতিটির দেহ। ইতিমধ্যেই দেহ উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে এসেছিলেন বনদফতরের (Forest Department) আধিকারিকরা।
কালিম্পং জেলার নোয়াম রেঞ্জের ঘিস নদীর রোমতির ২ নম্বর কম্পার্টমেন্ট অঞ্চল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে হাতিটির মৃতদেহ। শনিবার নোয়াম রেঞ্জের বনকর্মীরা নিয়মমাফিক টহল দেওয়ার সময় দেখতে পান হাতিটির দেহ। নদী সংলগ্ন অঞ্চলে পাহাড়ের পাশে মৃত অবস্থায় হাতিটিকে পড়ে থাকতে দেখে বনদফতরের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে খবর দেওয়া হয়। এরপর দুপুর নাগাদ ঘটনাস্থলে আসেন কালিম্পং জেলার ডিএফ চিত্রক ভট্টাচার্য। বিকেল ৩ টে নাগাদ হাতিটির দেহ রোমতির ২ নম্বর কম্পার্টমেন্ট থেকে উদ্ধার করে নোয়াম রেঞ্জে নিয়ে আসা হয়। জানা গিয়েছে এখানেই ময়না তদন্ত হবে হাতিটির।
নেচার অ্যান্ড অ্যাডভেঞ্চার সোসাইটির সম্পাদক নফসর আলী বলেন, মনে হচ্ছে পাহাড় থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে হাতিটির। সঠিক তদন্ত হোক। এই বিষয়ে কালিম্পং বন দফতরের ডিএফও চিত্রক ভট্টাচার্য বলেন, কী ভাবে মৃত্যু হয়েছে, তা ময়নাতদন্তের পরেইজানা যাবে। ৮-৯ বছরের পুরুষ হাতিটির নোয়ামেই ময়নাতদন্ত করা হবে। তারপরেই সঠিকভাবে বলা যাবে কী করে মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে হাতির মৃত্যুর খবর পেয়ে এলাকায় ভিড় জমায় স্থানীয়রা। তাঁদের দূরে সরিয়েছেন বনকর্মীরা। বনদফতরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কী ভাবে ওই হাতির মৃত্যু হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাহাড় থেকে পড়ে গিয়ে না এর পেছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে, খতিয়ে দেখা হবে তা।