নিজস্ব প্রতিনিধি: বর্ধমানের কালনার বিদ্যাবাগীশ পাড়া বাংলার বিশিষ্ট কালী সাধক কমলাকান্তের জন্মভিটে। কালীপুজোর দিনে মহা সমারহে মায়ের পুজো হয়। কিন্তু সারাবছর যেন অবহেলাতেই পড়ে থাকে কমলাকান্তের কালী মায়ের ভিটে। কালনার বিদ্যাবাগীশ পাড়া বাংলার বিশিষ্ট মাতৃসাধক কমলাকান্তের জন্মভিটে। পর্যটকেরাও কমলাকান্তের ভিটে দর্শনে এসে হতাশ হয়ে ফিরে যান।
কয়েক শত বছর আগে কালনার বিদ্যাবাগীশ পাড়ায় ভট্টাচার্য বাড়িতে মহামায়া দেবীর গর্ভে জন্ম নেয় এক শিশু। বাবার নাম মহেশ্বর ভট্টাচার্য। পরবর্তীকালে এই শিশুই হয়ে ওঠেন মা কালীর সাধক বিখ্যাত কমলাকান্ত ভট্টাচার্য। শিক্ষা দীক্ষার জন্যে কালনার টোলে ভর্তি হন তিনি। সেখানে পঠনপাঠন শেষ করে বাবা মহেশ্বর ভট্টাচার্যের মামারবাড়ি বর্ধমানের চাননা গ্রামে চলে যান তিনি।
কমলাকান্ত ছোটবেলা থেকেই মা কালীর ভক্ত। ছোট থেকেই তিনি মা কালীকে নিয়ে অসংখ্য গান লেখেন। পরে তিনি বর্ধমান মহারাজার সভাকবি হিসেবে নিযুক্ত হন। তিনি একাধারে যেমন উচ্চ স্তরের কবি, তেমনই উচ্চ স্তরের মাতৃ সাধকও। তাঁর গান গাইতেন স্বয়ং রামকৃষ্ণ। এহেন কবি ও সাধক কমলাকান্ত ভট্টাচার্যের জন্ম ভিটে এখন অবহেলায় পড়ে। তাঁর জন্ম ভিটেয় স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্যোগে একটি মন্দির গড়ে উঠেছে মাত্র। সেই মন্দিরেই তিনবেলা চলে পুজো পাঠ।
মাতৃ সাধকের ভিটে দেখতে এসে হতাশ হয়ে ফিরে যান দূর দূরান্তের বহু পর্যটক। ভিটেকে বাঁচাতে ও এবং জরুরি উন্নয়ন করতে স্থানীয় বাসিন্দারা এখন সরকারি সহযোগিতার অপেক্ষায় আছেন। এখন দেখার যৌথ উদ্যোগে কবে এই ভিটে নতুন রূপে নির্মিত হয়।