নিজস্ব প্রতিনিধি : বৃহস্পতিবার হাওড়ার বাগনানে কর্তব্যরত অবস্থায় প্রাণ হারান স্থানীয় থানার এস আই সুজয় দাস। সোনারপুর থানা থেকে বছর খানেক আগে বাগনানে পোস্টিং হন সুজয়। আচমকা পথ দুর্ঘটনায় সুজয়ের মৃত্যু হওয়ায় স্বভাবতই বাক্যহারা পরিবারের সদস্যরা।
এদিন সকাল ৬টা নাগাদ দুঃসংবাদটি আসে বেলুড়ে সুজয়ের বাড়িতে। সঙ্গে সঙ্গে বাগনানের উদ্দেশ্যে রওনা দেন সুজয়ের পরিবারের সদস্যরা। বেলুড়ের বাসিন্দা সুজয় দাসের পরিবারে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী ও তাঁর দুই সন্তান। আচমকা স্বামীর চলে যাওয়াটাকে কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না সুজয়ের স্ত্রী। স্বামীর অবর্তমানে কীভাবে সংসার চালাবেন, সেটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন সুজয়ের স্ত্রীর কাছে।
সুজয়ের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, ২০০৩ সালে রাজ্য পুলিশে চাকরি পেয়ে দীর্ঘদিন কনস্টেবল পদে বহাল ছিলেন সুজয় দাস। পরবর্তীকালে তিনি সোনারপুরে পোস্টিং পান। বছর খানেক আগে বাগনান থানায় বদলি হন তিনি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এলাকায় ভালো মানুষ হিসাবে পরিচিত ছিলেন সুজয়। পেশার বাইরে তিনি ক্রিকেট খেলতেন।
উল্লেখ্য, বাগনানে ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর টহলরত পুলিশের গাড়িতে ধাক্কা মারে একটি লরি। লরির ধাক্কায় প্রাণ হারান সুজয় দাস। সুজয়ের পাশাপাশি প্রাণ হারান হোম গার্ড পলাশ সামন্ত। সুজয়, পলাশের পাশাপাশি আহত হন দুই কনস্টেবল অলোক বর ও সুকদেব বিশ্বাস। ঘাতক লরিটি পুলিশের ওই টহলরত গাড়িতে ধাক্কা মেরে চলে যায়। এই ঘটনায় পুলিশের টহলরত গাড়ির চালক বক্কর আলিও আহত হয়েছেন। আহত তিন জন শরৎচন্দ্র মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।