এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

সিঙ্গুর নিয়ে Tribunal’র রায়ের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ কৃষকদের

Courtesy - Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: নতুন করে আবারও উত্তপ্ত সিঙ্গুর(Singur)। নেপথ্যে Arbitral Tribunal’র রায়। এদিন সিঙ্গুরের জমি আন্দোলনকারী মহিলারা চাষের জমিতে নেমে সেই রায়ের বিরুদ্ধে স্লোগান তুলে বলছেন, ‘ট্রাইব্যুনাল কোর্টের রায় মানছি না, মানব না’। কার্যত Tribunal’র রায়ের জেরে ফুঁসে উঠেছেন সিঙ্গুরের কৃষকরা। আন্দোলনকারীদের দাবি, সিঙ্গুরের জমি আন্দোলন ছিল কৃষিজমি রক্ষার দাবিতে। জোর করে বামফ্রন্ট সরকারের পুলিশ আর প্রশাসন রাতের অন্ধকারে মেরে জমি দখল করে ঘিরে নিয়েছিল। তাই টাটা মোটর্সকে(Tata Motors) এখন ক্ষতিপূরণ প্রদানের Tribunal’র রায় তাঁরা মানছেন না, মানবেনও না। যদিও বিরোধীদের দাবি, তৃণমূলই এই কৃষকদের মাঠে নামিয়ে দিয়েছে যাতে Arbitral Tribunal’র রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ দেয় হাইকোর্ট বা সুপ্রিম কোর্ট। যদিও নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য সরকার উচ্চ আদালতে যাওয়া যায় কিনা সেটা খতিয়ে দেখছে। নেওয়া হচ্ছে আইনজীবীদের পরামর্শও। তবে সেই মামলা হাইকোর্টে দায়ের হবে না সুপ্রিম কোর্টে তা এখনও ঠিক করা হয়নি।

Arbitral Tribunal জানিয়েছে, টাটা মোটরস গোষ্ঠীকে ৭৬৫.৭৮ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। আর সেটা দেবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার(West Bengal State Government)। ক্ষতিপূরণের ওই অঙ্ক ছাড়াও ২০১৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে হিসেব করে ১১ শতাংশ সুদ মেটাত হবে। এছাড়াও মামলার খরচ বাবদ আরও ১ কোটি টাকাও দিতে হবে টাটা গোষ্ঠীকে। সব মিলিয়ে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা দিতে হবে। এই টাকা দেওয়ার রায়ের বিরুদ্ধেই এখন গর্জে উঠেছেন সিঙ্গুরের কৃষকেরা। ২০০৬ সালে জমি অধিগ্রহণ ঘিরে সিঙ্গুরে জন্ম নিয়েছিল আন্দোলনের। সিঙ্গুরের বেড়াবেড়ি, গোপালনগর, কেজিডি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৫টি মৌজায় অনিচ্ছুক কৃষকদের আন্দোলন প্রতিরোধ গড়ে উঠেছিল। যদিও রাতের আঁধারে পুলিশ নামিয়ে অনিচ্ছুক কৃষকদের প্রায় ৪০০ একর জমি দখল করতে পিছুপা হয়নি বামফ্রন্ট সরকার। যদিও ২০১৬ সালে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয় যে, সিঙ্গুরে অধিগৃহিত হওয়া মোট হাজার জমিই কৃষকদের হাতে ফিরিয়ে দিতে হবে। সেই নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। ঠিক তার পরের বছর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) সিঙ্গুরে এসে প্রকল্প এলাকায় সর্ষে বীজ বুনেছিলেন। এরপর জমিকে চাষের উপযুক্ত করে তুলতে প্রকল্প এলাকায় ১০০ দিনের প্রকল্পের আওতায় এনে জমির জঙ্গল পরিষ্কার করার কাজ শুরু করে।

এদিন নতুন করে আন্দোলনে নামা অনিচ্ছুক কৃষকদের দাবি, ট্রাইব্যুনাল যে রায় দিয়েছে তা ঠিক হয়নি। বামফ্রন্ট সরকার জোর করে তাঁদের জমি দখল করেছিল। আলোচনার মাধ্যমে দখল করা হয়নি। তাঁরা চেয়েছিলেন চাষীদের নিয়ে আলোচনা করুক বামফ্রন্ট সরকার। কিন্তু তা না করে ৪ ফসলী জমি দখল করেছিল বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের পুলিশ। বামফ্রন্ট সরকার কোন কিছুই মানতে রাজি ছিলেন না। পরবর্তীকালে ৬০০ একর জমিতে শিল্প হওয়ার কথা হলেও তা মানা হয়নি। সেটা হলে শিল্প বাঁচত, কৃষি বাঁচত। তবে টাটা কী কারণে চলে গেল সেটা তাঁরা জানেন না। সিপিএমের সঙ্গে কি কোনও পরিকল্পনা বা ষড়যন্ত্র হয়েছিল তা তাঁরা বলতে পারবেন না। তবে যে রায় দেওয়া হয়েছে সেই রায়কে তাঁরা মুখ বুজে মেনে নিতে পারছেন না। সুপ্রিম কোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছে সেই মতো কাজ করেছে বর্তমান সরকার। কিন্তু ট্রাইব্যুনাল সেই রায় মানল না।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

ফের বঙ্গে তীব্র তাপপ্রবাহের ‘চরম সতর্কতা’ জারি করল আবহাওয়া দফতর

এবার দু ‘লক্ষেরও বেশি ভোটে জিতব নির্বাচনে : কাকলি ঘোষ দস্তিদার

‘সিপিএম কিনলে কংগ্রেস ফ্রি, কংগ্রেস কিনলে সিপিএম ফ্রি’, দাবি মমতার

‘মানুষ কাঁদছে, বিজেপি হারছে, বুক দুরুদুরু করছে’, দাবি মমতার

‘অধীর চৌধুরীকে তৃণমূল বুঝিয়ে দেবে, বহরমপুর কার গড়’, দাবি নাড়ুগোপালের

সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ দেবাশিস ধর, মামলা শুনতে সম্মত শীর্ষ আদালত

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর