এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

বাংলার ২ প্রত্যন্ত গ্রামে মিলল মারাত্মক MDR TB’র ৫ রোগী

নিজস্ব প্রতিনিধি: ২০২৫ সালের মধ্যে যক্ষ্মা নির্মূলের শপথ নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ(West Bengal)। সেই সময়সীমা শেষ হতে বাকি মাত্র আর আড়াই বছর। কিন্তু সেই সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই একটি ঘটনা রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের(Health Department) আধিকারিকদের রাতের গুম কেড়ে নিতে চলেছে। কেননা রাজ্যের পূর্ব মেদিনীপুর(Purba Midnapur) জেলার তমলুকের(Tamluk) দু’টি প্রত্যন্ত গ্রামে পাওয়া গিয়েছে মারাত্মক মাল্টি ড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট যক্ষ্মা রোগীর সন্ধান। তাও এক আধজন নয়, পুরো ৫জন। এই ধরনের যক্ষ্মায় অধিকাংশ ওষুধই কাজে দেয় না। একই সঙ্গে এই যক্ষা খুবই ছোঁয়াচে। আর তার জেরেই রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। কেননা স্বাস্থ্যকর্তাদের ধারনা এই রোগীদের সন্ধান মিলেছে যে ২টি গ্রাম থেকে সেই গ্রামে গিয়ে জনে জনে ধরে পরীক্ষা শুরু করলে আরও বেশি এই রোগীর সন্ধান মিলবে।

আরও পড়ুন করমণ্ডল দুর্ঘটনায় নিহত ও অথর্বদের চাকরি দিচ্ছেন মমতা

Multi Drug-Resistant Tuberculosis বা MDR TB অত্যন্ত সংক্রামক। রোগীর হাঁচি, কাশি, থুতু ইত্যাদি থেকে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে বা বাড়ির আশেপাশের লোকেদের মধ্যে এই রোগ ছড়িয়ে পড়ে। এমন কী অতীতে এই রোগ পুরো গ্রামজুড়ে ছড়িয়ে পড়তেও দেখা গিয়েছে। যে ৫জনের মধ্যে এই রোগ ধরা পড়েছে তাঁরা এলাকার একটি সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়েছিলেন চিকিৎসা করাতে। সেই সূত্রেই রোগটি ধরা পড়েছে। কিন্তু যারা যাননি সেই সংখ্যক মানুষের প্রকৃত সংখ্যাটা কত সেটাই একজন জানতে চাইছেন স্বাস্থ্যকর্তারা। একই সঙ্গে তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এই সংক্রমক ব্যাধি যাতে বেশি ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য ওই ২টি গ্রামের বাসিন্দাদের বাধ্যতামূলক ভাবে মাস্ক পরা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং যত্রতত্র থুতু ফেলা আটকাতে কড়াকড়ির পথে হাঁটা হবে। প্রসঙ্গত, রাজ্যে প্রতিবছর গড়ে ১ লক্ষ মানুষের টিবি ধরা পড়ছে।

আরও পড়ুন মঙ্গলে আহতদের দেখতে কটক-ভুবনেশ্বরে যাচ্ছেন মমতা

যে সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রটির মাধ্যমে এই ব্যাধি নতুন করে চিহ্নিত হয়েছে সেটির নাম চক শ্রীরাধা সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র। তারই অধীন নিজ্জতগরুপোঁতা ও চক কসমালি—এই দুই গ্রামই এখন স্বাস্থ্যভবনের নজরে। যে ৫জন রোগীর MDR TB-তে আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদের মধ্যে ৪জনই চক কসমালি গ্রামের বাসিন্দা। ১জন নিজ্জতগরুপোঁতা গ্রামের বাসিন্দা। এই ৫জনের মধ্যে ৪জন পুরুষ ও ১জন মহিলা। সর্বকনিষ্ঠজনের বয়স ১৭ বছর। এই ৫জনের মধ্যে ১জন আবার সদ্য ওড়িশা থেকে ফিরেছেন। রোগ সংক্রমণের ক্ষেত্রে এগুলিকেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তবে এই রোগ যাতে আর না ছড়িয়ে পড়ে তার জন্য ইতিমধ্যেই ওই দুই গ্রামে নোটিস জারী করে দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে। আক্রান্তদের সংস্পর্শে থাকা গ্রামবাসীদের বাড়িতে আশাকর্মী পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়াও হয়েছে। ওই রোগের উপসর্গ বয়ে বেড়ানো মানুষজনেরও থুতুও পরীক্ষা হবে। পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনা করে এ সপ্তাহে দুই গ্রাম পরিদর্শনে যাচ্ছেন রাজ্যের যক্ষ্মা আধিকারিকেরা।  

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

ফের বঙ্গে তীব্র তাপপ্রবাহের ‘চরম সতর্কতা’ জারি করল আবহাওয়া দফতর

এবার দু ‘লক্ষেরও বেশি ভোটে জিতব নির্বাচনে : কাকলি ঘোষ দস্তিদার

‘সিপিএম কিনলে কংগ্রেস ফ্রি, কংগ্রেস কিনলে সিপিএম ফ্রি’, দাবি মমতার

‘মানুষ কাঁদছে, বিজেপি হারছে, বুক দুরুদুরু করছে’, দাবি মমতার

‘অধীর চৌধুরীকে তৃণমূল বুঝিয়ে দেবে, বহরমপুর কার গড়’, দাবি নাড়ুগোপালের

সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ দেবাশিস ধর, মামলা শুনতে সম্মত শীর্ষ আদালত

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর