নিজস্ব প্রতিনিধি: একুশের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্য বিধানসভা থেকে ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গিয়েছে বামেরা। কিন্তু তারপরের সব নির্বাচনে দেখা যাচ্ছে বিজেপিকে পিছনে ফেলে ক্রমশ ফের রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল হিসাবে উঠে আসছে বামেরাই। ঠিক এই রকম সময়েই মেদিনীপুরের মতো একসময়কার বামদুর্গেই কিনা ফাটল ধরল বামফ্রন্টে। আর সেটাও কিনা পুরনির্বাচনের প্রেক্ষাপটে। বামফ্রন্টের বড়দাদা সিপিআই(এম) মেদিনীপুর টাউন পুরসভায় একটিও আসন ছাড়েনি আরেক বাম শরিক দল ফরওয়ার্ড ব্লককে। আর তার জেরেই বামফ্রন্ট ছেড়ে বেরিয়ে সেখানে আলাদা করে প্রার্থী দিল ফরওয়ার্ড ব্লক। আর সবটাই ঘটল সুশান্ত ঘোশ পসগচিম মেদিনীপুর জেলা সিপিএমের সম্পাদক হওয়ার ঠিক পরে পরেই।
জানা গিয়েছে, মেদিনীপুর পুরসভার ২৫টি আসনের মধ্যে এবার বামফ্রন্টের তরফ থেকে ১৬টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে সিপিআই(এম)। সিপিআইকে ছাড়া হয় ৪টি আসন। বাকি ৫টি আসন ছেড়ে দেওয়া হয় ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক শক্তির জন্য। এই ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক শক্তির মধ্যে আছে মূলত কংগ্রেস ও নির্দল। কিন্তু কোনও আসন ছাড়া হয়নি ফরওয়ার্ড ব্লক ও আরএসপির জন্য। এর জেরে এই দুই দলেই তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। আরএসপির নেতারা এর জেরে কোনও পদক্ষেপ না নিলেও শহরের ফরওয়ার্ড ব্লকের নেতারা এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি। তাঁরা বামফ্রন্ট ছেড়ে পৃথক ভাবে শহরের ৩টি ওয়ার্ডে দলীয় প্রতীকে প্রার্থী দিয়েছেন। ওই ৩টি ওয়ার্ড হল ১৫, ২১ ও ২৫ নম্বর ওয়ার্ড। ঘটনার জেরে ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা তথা ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী আনোয়ার আলী খান জানিয়েছেন, ‘সিপিএম বামফ্রন্টের নামে কার্যত একনায়কতন্ত্র চালাচ্ছে। ক্ষমতা থেকে সরে গিয়ে, রাজ্য বিধানসভা থেকে মুছে গিয়েও তাঁদের দাদাগিরি বিন্দুমাত্র কমেনি। ওরা মেদিনীপুরে কংগ্রেস ও নির্দলকে আসন ছেড়েছে। অথচ ফরওয়ার্ড ব্লকের জন্য কোনও আসন ছাড়েনি। তাই আমরাও দলের তরফে ৩টি আসনে প্রার্থী দিয়েছি।’