নিজস্ব প্রতিনিধি: রাইফেল ফ্যাক্টরিতে কাজ দেওয়ার নাম করে ১১ লাখ টাকা প্রতারণার অভিযোগ বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে। ইছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টরিতে কাজ দেওয়ার নামে এক চাকরিপ্রার্থীর কাছ থেকে ১১ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ওই বিজেপি নেতার নাম সঞ্জয় প্রসাদ। তিনি বিজেপি পরিচালিত ইউনিয়নের ভাইস প্রেসিডেন্ট। অভিযুক্ত বিজেপি নেতা ইছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টরিতে কর্মরত। তাঁর সঙ্গে দীর্ঘদিনের পরিচয় ছিল বেলঘরিয়া থানা এলাকার পূর্ব আলিপুর এলাকার বাসিন্দা জয়ন্ত দাসের। জয়ন্ত দাস পেশায় ব্যবসায়ী। তাঁর মেয়ে পিয়ালি দাসের চাকরির জন্য বিজেপি নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করলে সঞ্জয় প্রসাদ তাঁর কাছ থেকে ১১ লাখ টাকা নেন। ইছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টরিতে পিয়ালির চাকরি হয়ে যাবে বলেও তিনি জানান।
প্রতারিতদের অভিযোগ, চাকরি দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ টাকা নিলেও দীর্ঘদিন হয়ে যাওয়ার পর কোনও চাকরি মেলেনি। এদিকে টাকা চাইলেও টাকা ফেরত দিচ্ছিলেন না ওই বিজেপি নেতা। একাধিকবার বিষয়টি এড়িয়ে যেতে থাকেন তিনি। টাকা ও চাকরি না দিতে পেরে অবশেষে ফন্দি আঁটে ওই বিজেপি নেতা। কাশীপুর রাইফেল ফ্যাক্টরি থেকে পিয়ালি দাসের নামে জাল নথি বের করেন সঞ্জয় প্রসাদ। কিন্তু বিষয়টি ধরে ফেলেন পিয়ালি নামের ওই চাকরিপ্রার্থী ও তাঁর বাবা জয়ন্ত দাস। পরে গোটা বিষয়টি জানিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন পিয়ালি। বিজেপি নেতা সঞ্জয় প্রসাদের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী জয়ন্ত দাস বেলঘরিয়া থানা ও নোয়াপাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পাশাপাশি বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের অফিসেও অভিযোগ দায়ের করেন জয়ন্ত দাস। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এই ঘটনা নিয়ে জয়ন্ত বলেন, ‘মেয়ের বিয়ের জন্য জমানো টাকা চাকরির জন্য দিয়েছিলাম। সেই পুঁজিও শেষ। অন্য কোন পরিবার যেন এইরকম প্রতারণার শিকার না হয়।’ অন্যদিকে অভিযুক্ত সঞ্জয় প্রসাদের সঙ্গে বিজেপি যোগের কথা অস্বীকার করেছেন বারাকপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।