নিজস্ব প্রতিনিধি: আলুর নকল বন্ড ছাপিয়ে লাখ লাখ টাকা প্রতারণার অভিযোগ। জলপাইগুড়ি জেলার কোতোয়ালি থানা এলাকায় এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমে ইতিমধ্যে ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে জলপাইগুড়ির কোতোয়ালি থানার পুলিশ। ধৃত ৩ জনকে বৃহস্পতিবার আদালতে তোলা হয় পুলিশের তরফে। ধৃতদের আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় কোতোয়ালি থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের দুটো হিমঘরের আলুর বন্ড নকল করে তা বাজারে বিক্রি করছিল অভিযুক্তরা। এই ঘটনা নজরে আসার পর জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করে হিমঘর কর্তৃপক্ষ। এর পর অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার সাদা পোশাকের পুলিশ। রাতভর তল্লাশি অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ৩ জনকে গ্রেফতার করেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ধৃত ৩ জনই জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ ব্লকের জটিয়াকালি এলাকার বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার ধৃতদের জলপাইগুড়ি আদালতে পেশ করে ১০ দিন রিমান্ডের আবেদন জানিয়েছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, এর আগে গত বছর জুলাই মাসে আলুর বন্ড নিয়ে কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ সামনে আসে। পার্থপ্রতিম রায় নামে এক গবেষক অভিযোগ করেন, আলুর ব্যবসায় বিনিয়োগ করার নামে তাঁকে ধাপে ধাপে কোটি টাকার বন্ড বিক্রি করেছিলেন সুপ্তি নামের এক বেসরকারি ব্যাঙ্ক আধিকারিক এবং তাঁর স্বামী। পার্থর অভিযোগ, ২০১৭ সালের শেষদিকে সুপ্তি ও তাঁর স্বামীর মাধ্যমে আলু ব্যবসায় বিপুল টাকা বিনিয়োগ করে বন্ড কেনেন তিনি। পরবর্তীতে অভিযুক্ত সুপ্তি ও তাঁর স্বামী পার্থকে জানান, আরও বেশি টাকা বিনিয়োগ করলে, সেবি অনুমোদিত বন্ডের প্রকৃত নথি পাওয়া যাবে। পার্থ বলেন, ‘ওদের কথার উপর ভরসা করে আমাদের পরিবারের সব সদস্যরা মিলে মোট ১ কোটি টাকা বিনিয়োগ করি। তা সত্ত্বেও কোনও নথি আমরা পাইনি। প্রতারণার শিকার হয়েছি বুঝতে পেরে তাঁদের কাছে টাকা ফেরত চাইলেও তা ফেরত দেয়নি ওঁরা।’ এর পর অভিযোগ পেয়ে ওই ব্যাঙ্ক আধিকারিককে গ্রেফতার করে শেক্সপিয়ার সরণি থানার পুলিশ।