নিজস্ব প্রতিবেদক: অভিভাবকরা দিতে পারেননি স্কুলের ধার্য করা টাকা। তাই পড়ুয়াদের ঢুকতেই দেওয়া হল না স্কুলে (School)। অনেক তর্কাতর্কির পর যদিও বা ঢুকতে দেওয়া হল কিন্তু তারপরেই অভিযোগ উঠল ক্লাস করতে না দেওয়ার। এখানেই শেষ নয়, ছোট পড়ুয়াদের আটকে রাখার অভিযোগও উঠেছে স্কুলের বিরুদ্ধে। এ তো গেল জুনিয়র সেকশনের কথা। সিনিয়রদের স্কুলে ঢুকতে ও রিপোর্ট কার্ড দেখতেই দেওয়া হয়নি। ‘সরি’ বলে মুখের ওপর লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে দরজা।
অভিযোগ উঠেছে জিডি বিড়লা ও মহাদেবী বিড়লা শিশু বিহারের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, উচ্চ আদালতের নির্দেশ মতো পঞ্চাশ শতাংশ ফিজ জমা করলেও হেনস্থা করা হচ্ছে পড়ুয়া ও অভিভাবক- অভিভাবিকাদের। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে অভিভাবক- অভিভাবিকাদের বচসা হয়। তা বাড়তে বাড়তে রূপ নেয় ধ্বস্তাধ্বস্তির। এই ঘটনায় এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে চাঞ্চল্য। তৈরি হয়েছে তীব্র ক্ষোভ। ঘটনার নিন্দা করেছে শিক্ষা মহল।
মহাদেবী বিড়লা শিশু বিহারের পড়ুয়াদের পরিবারের অভিযোগ, সকাল প্রায় ৮ টা থেকে স্কুলের ৮-১০ জন শিক্ষার্থীকে গেটের বাইরে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। বহু বাকবিতণ্ডার পর ঢুকতে দেওয়া হলেও ক্লাস করতে দেওয়া হয়নি। তার চেয়েও বড় অভিযোগ, যদি ক্লাস করতে দেওয়া হবেই না ঠিক করেছিল কর্তৃপক্ষ, তবে কেন আটকে রাখা হয়েছিল? বাইরে আসতে দেওয়া হচ্ছিল না? আরও অভিযোগ, টাকা দিতে না পারার জন্য দেওয়া হয়নি রিপোর্ট কার্ড।
সম্প্রতি বাড়ানো হয়েছে স্কুলের মাইনে (Fees)। তাতে এককালীন যে টাকা চাওয়া হয়েছিল তা দিতে পারেননি পড়ুয়াদের পরিবার। এরজন্য কিছুদিন সময় চেয়েছিলেন তাঁরা। তবে স্কুল কিছুতেই মানতে রাজি নয়। সাফ জানানো হয়েছে ক্লাস করতে হলে আগে পুরো টাকা মিটিয়েই তা করতে হবে।
আবার জিডি বিড়লা স্কুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, এদিন প্রায় ৯০ জন ছাত্রীকে স্কুলে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। উচ্চ আদালতের নির্দেশ মতো বকেয়া মেটালেও ক্লাস করতে দেওয়া হয়নি ছাত্রীদের। স্কুলের দাবি, তাদের ধার্য করা বেতনই একেবারে মেটাতে হবে। আরও অভিযোগ, রিপোর্ট কার্ড দেওয়া তো দূরের কথা, দেখতে পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। এমনকি শুধু ‘সরি’ বলে মুখের ওপর দরজা লাগিয়ে দেওয়ার গুরুতর অভিযোগও করা হয়েছে।
দুটি স্কুল জুনিয়র ও সিনিয়রদের। দুটোই বিড়লা অধীনস্থ। কর্তৃপক্ষের এই ব্যবহার আদালত অবমাননা বলে অভিযোগ পড়ুয়াদের (Student) পরিবারের। এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন অভিভাবক- অভিভাবিকারা। প্রসঙ্গত, আদালতের নির্দেশ স্কুল থেকে কোনও পড়ুয়াকে আর্থিক কারণে বহিস্কার করা যাবে না। পরীক্ষাতেও বাধা দেওয়া যাবে না। জুনিয়রদের প্রথমে ঢুকতে না দেওয়া, পরে ঢুকতে দিলেও ক্লাস করতে না দেওয়া এবং আটকে রাখা আর সিনিয়রদের বিদ্যালয়ে ঢুকতেই না দেওয়া নিয়ে শুরু হয়েছে তীব্র অসন্তোষ।