নিজস্ব প্রতিনিধি: অস্ট্রেলিয়ার জঙ্গলে বা গাছে ঢাকা মালভূমি এলাকায় যে সাপের দেখা মেলে সেই সাপই কিনা বুধবার উদ্ধার হল বাংলার(Bengal) বুক থেকে। আর তার জেরেই ছড়ালো চাঞ্চল্য। অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় যে সাপ পাওয়া যায় সেই সাপ কীভাবে এল বাংলার বুকে? তাহলে কী এই সাপ কেউ অন্য কোথাও পাচার করার চেষ্টা করছিল? নাকি এই সাপ নিজেই চলে এসেছে বাংলার বুকে? এইসব প্রশ্নই এখন ভাবাচ্ছে প্রশাসনিক আধিকারিকদের পাশাপাশি সর্পবিশারদদেরও। বুধবার বাংলার বুকে এই গ্রিন পিট ভাইপার(Green Pit Viper) উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে জলপাইগুড়ি(Jalpaiguri) জেলার মাল(Mal) মহকুমার ওদলাবাড়ি(Odlabari) এলাকায়।
জানা গিয়েছে, ওদলাবাড়ি এলাকায় বুধবার বেলার দিকে একটি গ্যারাজে সারাইয়ের জন্য আসা একটি স্কুটি পরীক্ষা করছিলেন সেখানকার কর্মীরা। সেই সময়েই ওই স্কুটির সামনের লাইট বক্স খুলতেই বেড়িয়ে আসে সবুজ রঙের সাপটি। কার্যত লাইট বক্সের মধ্যে পেঁচিয়ে ছিল কচি কলাপাতা রঙের সাপটি যা দেখে স্কুটি সারানোর কাজ ছেড়ে নিরাপদ দূরত্ব সরে যান ওই কর্মীরা। তাঁরা মনে করেছিলেন সেটি লাউডগা সাপ যা বাংলা জুড়েই দেখা যায়। তারপরেই তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় ওদলাবাড়িরই একটি পরিবেশপ্রেমী সংগঠনকে। খবর পেয়ে ওই সংগঠনের সদস্য আশিক আলি এবং অন্যান্যরা কিছু ক্ষণের চেষ্টার পর আড়াই ফুট লম্বা সাপটিকে প্লাস্টিকের জারে বন্দি করেন।
জানা গিয়েছে, গ্রিন পিট ভাইপার মূলত বেশি দেখা যায় অস্ট্রেলিয়ার বুকে। এর বাইরে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বেশ কিছু দেশে। এই সাপের দেখা মেলে উত্তর-পূর্ব ভারত ও শ্রীলঙ্কাতেও কিন্তু বাংলার বুকে এই সাপের দেখা মেলে না। আর এখানেই প্রশ্ন এই ভয়ংকর বিষধর সাপ বাংলায় এল কীভাবে। গ্যারাজ মালিক রাজেশ মণ্ডল জানিয়েছেন, ‘সোমবার দুপুরে নাগাদ বাগরাকোটের এক ব্যক্তি দোকানে স্কুটিটি রেখে গিয়েছিলেন। স্কুটিটি সারানোর কথা বলেন তিনি। সেই মতো আমার এক কর্মচারি স্কুটির সামনের ঢাকনা খুলতেই সাপটি দেখতে পান।’ পরিবেশ কর্মীরা অবশ্য মনে করছেন, সাপটি কেউ পাচার করতে চেয়েছিল। কিন্তু কোনও ভাবে তা বেড়িয়ে পড়ে ও স্কুটিতে ঢুকে যায়। তবে এদিন গ্যারেজকর্মীরা যে সাক্ষাৎ মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছেন সেটাই সব থেকে বড় বিষয়।