নিজস্ব প্রতিনিধি: পাহাড়ে জিটিএ(GTA) বা গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিন্সস্ট্রেশনের নির্বাচন আগামী রবিবার অর্থাৎ ২৬ জুন। সেই নির্বাচনে(Election) প্রচারের সময়সীমা শেষ হচ্ছে এদিন অর্থাৎ শুক্রবার বিকালেই। তার আগে এই নির্বাচন হওয়া ঠেকাতে মামলা দায়ের করা হয়েছিল সুবাস ঘিসিং ও মন ঘিসিংয়ের দল জিএনএলএফ(GNLF)-এর তরফে। সেই মামলার শুনানি শুরু হয়েছিল আগেই। শুক্রবার সেই মামলাতেই কলকাতা হাইকোর্ট(Calcutta High Court) নির্বাচনের ওপর কোনওরকম হস্তক্ষেপ করতে রাজি হল না। অর্থাৎ আগামী রবিবার পাহাড়ে জিটিএ নির্বাচনের ক্ষেত্রে আর কোনও বাধা রইল না।
রাজ্য সরকার(State Government) পাহাড়ের উন্নয়নের ক্ষেত্রে যে পদক্ষেপ করছে তা আটকাল না কলকাতা হাইকোর্ট। স্বাভাবিক ভাবেই তাতে কিছুটা হলেও মুখ পুড়েছে গেরুয়া শিবিরের। কেননা তাঁরাই কলকাঠি নেড়ে জিএনএলএফ-কে দিয়ে এই মামলা দায়ের করিয়েছিল নির্বাচন স্থগিত করানোর লক্ষ্যে যা ব্যর্থ হল। একই সঙ্গে আদালত এদিন জানিয়ে দিয়েছে, এই নির্বাচনে ভোটগ্রহণের ক্ষেত্রে যেমন কোনও বাধা নেই তেমনি ভোটের ফলাফল ঘোষণার ক্ষেত্রেও কোনও বাধা থাকবে না।
জিটিএ নির্বাচনের বৈধতা নিয়ে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে গেরুয়া বাহিনীর ইন্ধনে মামলা দায়ের করেছিল জিএনএলএফ। তাঁরা দাবি করে, সংবিধান সংশোধন না করে এই নির্বাচন করা যাবে না। কারণ সংবিধান সংশোধন না করেই ২০১১ সালে জিটিএ তৈরি করা হয়েছিল। ফলত পুরনো ভোট প্রক্রিয়াকেই অবৈধ বলে দাবি করা হয়। এই মামলায় রাজ্য সরকারের তরফে বলা হয়েছিল, নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আদালতের হস্তভেপ উচিত নয়। শুক্রবার সেই মামলার রায়দান কালে বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য বলেন, ‘জিটিএ নির্বাচনে কোনও বাধা নেই। নির্ধারিত দিন অর্থাৎ ২৬ জুনই নির্বাচন হবে। ফলাফল ঘোষণার ক্ষেত্রেও কোনওরকম বাধা থাকছে না। তবে সংবিধান সংশোধন নিয়ে যে অভিযোগ উঠেছে, সেটা খতিয়ে দেখবে আদালত।’