নিজস্ব প্রতিনিধি: ববিতা সরকার দ্বারস্থ হয়েছিলেন হাইকোর্টের (HC)। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে চাকরি গিয়েছিল প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতার। তারপরে নিজেকে চাকরির যোগ্য দাবিদার বলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অনামিকা রায়। বিচারপতির নির্দেশ, চাকরি পাবেন অনামিকাই।
বিচারপতির রায়, ববিতার চাকরি বাতিল করে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ অনামিকাকে চাকরির সুপারিশপত্র দেবে তিন সপ্তাহের মধ্যে। নির্দেশ, বাড়ির কাছের কোনও স্কুলে চাকরি দিতে হবে। উল্লেখ্য, ববিতার অভিযোগ ছিল মেধাতালিকায় অনেক পেছনে নাম থাকা সত্বেও চাকরি পেয়েছেন অঙ্কিতা। এরপরে বিচারপতির নির্দেশে চাকরি পেয়েছিলেন ববিতা। অঙ্কিতার বেতন যায় ববিতার কাছে। তার কয়েক মাস পরেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অনামিকা।
অভিযোগ, চাকরির আবেদন করার সময় ববিতার স্নাতকের নম্বর বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে। ফলে বেড়েছে তাঁর ‘অ্যাকাডেমিক স্কোর’। উল্লেখ্য, গ্র্যাজুয়েশনে ৮০০ নম্বরের মধ্যে ৪৪০ পেয়েছিলেন ববিতা। মানে, শতাংশের হিসেবে তা ৫৫ শতাংশ কিন্তু দেখানো হয়েছিল ৬০ শতাংশ। তাই অ্যাকাডেমিক স্কোর ৩৩ না হয়ে ৩১ হবে। মানে, মেধাতালিকায় অনেক পেছনে থাকবে ববিতার নাম। অনামিকার দাবি ছিল, ২০ জনের তালিকায় শেষ নম্বরে থাকবে তাঁর (অনামিকা) নাম। ফলে চাকরি তাঁর প্রাপ্য।
এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি আগেই নির্দেশ দিয়েছিলেন, বেতনের টাকা সরিয়ে রাখতে হবে ববিতাকে। মঙ্গলবার বিচারপতির নির্দেশ, টাকা এবং চাকরি প্রাপ্য অনামিকা রায়ের।