নিজস্ব প্রতিনিধি: অতিরিক্ত বর্ষণের পর সূর্যের আলো দেখা দিতেই সবজি গাছের গোড়ায় পচন।বাজারে সব্জি ফসল অমিল। অগ্নিমূল্য বাজার।আম জনতার পকেটে অতিরিক্ত চাপ।নিম্নচাপের পর সবজি গাছের গোড়ায় জল জমে ছিল। তারপর সূর্যের আলো দেখা দিতেই গাছের গোড়ায় পচন দেখা দিতেই সব্জী বাজারে আগুন লাগতে দেখা গেল। একদিকে ফোড়ে দালালের উৎপাত, অন্যদিকে দেখা গেল কৃষকের ঘরে হাহাকার। উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের (Bashirhat)দশটি ব্লকের কয়েক হাজার হেক্টর জমিতে সবজি থেকে বিভিন্ন ফসলের চাষ হয়েছিল এবং ফলনও ফলেছিল চোখে পড়ার মত।
কিন্তু বাদ সাধল লাগাতার বৃষ্টি। ফলে ফসলের গোড়ায় জল দাঁড়িয়েছিল, যার ফলে পচন শুরু হয়েছে কাঁচা লঙ্কা, ওল, ফুলকপি,বাঁধাকপি,বরবটি, ঢ্যাড়শ, কাঁকরোল, উচ্ছে, গাঁজর, বিট, পেঁপে, কাঁচ কলা সহ একাধিক ফসলে। কৃষকরা মাঠে ফলিয়ে ছিল লাভের আশায় । কিন্তু তাদের আশায় জল ঢেলে দিল গভীর নিন্মচাপ। বেশ কয়েকদিন ধরে সীমান্ত থেকে সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকায় লাগাতার বর্ষণের জেরে চাষীরা মাঠের তরতাজা ফসল ঘরে আনতে পারেনি। বেশিরভাগটাই নষ্ট হয়ে গেছে মাঠে। আর যেটুকুই বেঁচে আছে তা চাষীদের কাছ থেকে আদায় করতে ব্যস্ত ফোড়ের দল। সেই সবজি বিভিন্ন বাজারে তোলার পর তার গায়ে হাত দিতেই ছাঁকা লাগছে আমজনতার। যেমন ধরুন চাষীদের কাছ থেকে পেঁপে কিনছে দু টাকা কিলো সেই পেঁপে বাজারে আসছে ও বিক্রি হচ্ছে১৫ থেকে ২৫ টাকা কিলো ।
এছাড়াও বিভিন্ন নৃত প্রয়োজনীয় সব্জির দাম হয়েছে আকাশ ছোঁয়া। নিম্নচাপের আগে কাঁচালঙ্কা কেজি প্রতি ৫০ টাকা ছিল। সেটা হয়েছে ১০০ও বেশী টাকা। উচ্ছে, বেগুন, বিট, গাজর ,বরবটি যা সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে গিয়েছে। তার কারণ লাগাতার বৃষ্টি জেরে গাছের গোড়ায় জল দাঁড়িয়ে গিয়ে পচন দেখা দিয়েছে। এর ওপরে সূর্যের আলো উঠতেই ক্ষতির আশঙ্কা দ্বিগুণ । সামনে পুজো তার আগেই বাজার হচ্ছে অগ্নি মূল্য। উৎপাত বেড়েছে ফোড়ে দালালদের। তাই সব মিলিয়ে কৃষক কূল মহা বিপদে। কৃষকরা বলছেন, লঙ্কা ফলন হচ্ছে কম।
তার উপর এই বর্ষার জলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে লঙ্কা চাষের। পাশাপাশি বেগুন গাছে পচন ধরতে শুরু করেছে। বসিরহাটের মেরুদন্ডী,শিবহাটি,আধানী সহ একাধিক গ্রামের লঙ্কা, রাজ্য ছাড়িয়ে বিভিন্ন রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় রপ্তানি হয়। তার ওপরেও কোপ ফেলেছে নিম্নচাপ। মহকুমা কৃষি আধিকারিকরা জানান বর্ষা বন্ধ হয়েছে । এবার কৃষকদের বিনামূল্যের শস্য বীজ দেওয়া হবে। কৃষকদের জন্য কৃষি ঋণ মুকুব করা যায় কিনা সেটাও আমাদের নজরে রয়েছে। যাতে পুনরায় কৃষকরা নতুন করে চাষ করতে পারে তার সবরকম ব্যবস্থা করার পক্ষে আছে রাজ্য কৃষি দপ্তর। পাশাপাশি কৃষি বীমা যাদের রয়েছে তারা এমনিতেই ক্ষতিপূরণ পাবেন। যারা কৃষি বীমার আওতায় আসতে পারেননি তাদেরকে অবিলম্বে বলবো আপনারা কৃষি বীমা করে রাখুন।