এই মুহূর্তে




আবাস উপভোক্তাদের দিতে হবে মুচলেখা, বড় সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের

Courtesy - Google and Facebook




নিজস্ব প্রতিনিধি: পুজোর পরে চলতি মাসের ২১ তারিখ থেকেই রাজ্যজুড়ে শুরু হয়ে যাবে আবাস যোজনার জন্য সমীক্ষা(Survey for House)। কেন্দ্র সরকার বাংলাকে(Bengal) সাড়ে ১১ লক্ষ বাড়ি তৈরির বরাত দিলেও গত আড়াই বছর ধরে সেই প্রকল্পের জন্য একপয়সাও ছাড়েনি। তাঁদের একটাই অভিযোগ প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ আবাস যোজনা প্রকল্পে দুর্নীতি হয়েছে। যদিও সেই সব দুর্নীতির সামান্য কিছু অভিযোগ প্রমাণিত হলেও বাকিগুলির কোনও সন্ধানই মেলেনি। এই অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, রাজ্য সরকারই ওই সাড়ে ১১ লক্ষ বাড়ি করে দেবে ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের(Banglar Bari Scheme) মাধ্যমে। সেই বাড়ি নির্মাণের জন্য প্রত্যেক উপভোক্তাকে(Consumers) ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা করেও দেওয়া হবে। সেই টাকা দেবে রাজ্য সরকারই। সেই টাকা দেওয়ার আগে হবে সমীক্ষা। সেখানে দেখা হবে উপভোক্তা ওই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার যোগ্য কিনা। মূলত দুর্নীতি ঠেকাতেই এই পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। এবার জানা যাচ্ছে, সেই সমীক্ষার পরে প্রত্যেক উপভোক্তার কাছ থেকে মুচলেখা(Written Bond) নেওয়া হবে। যারা সেই মুচলেখা দেবেন, তাঁরা এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। যারা দেবেন না তাঁদের নাম এই প্রকল্পের উপভোক্তাদের তালিকা থেকে বাদ পড়ে যাবে।

আরও পড়ুন, পূর্ণ কর্মবিরতির পথ থেকে সরে আসুন জুনিয়র ডাক্তারেরা, পরামর্শ সিনিয়রদের

কেন মুচলেখা? রাজ্যের সাড়ে ১১ লক্ষ উপভোক্তাকে বাড়ি বানিয়ে দিতে রাজ্য সরকারের খরচা হবে ১৩ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। ৩ ধাপে সেই তাকা পাবেন উপভোক্তারা। প্রথম বার দেওয়া হবে ৬০ হাজার টাকা। দ্বিতীয় ধাপে তাঁরা পাবেন ৪০ হাজার টাকা। তৃতীয় ধাপে মিলবে ২০ হাজার টাকা। এর আগে দেখা গিয়েছে, আবাস যোজনায় যারা টাকা পেয়েছেন, তাঁরা বহু ক্ষেত্রে সেই টাকায় বাড়ি না বানিয়ে ওই টাকা অন্যখাতে খরচ করে ফেলেছেন। আবাস যোজনার টাকা নিয়েও বাড়ি তৈরি করেননি উপভোক্তা, ইতিপূর্বে এমন বহু ঘটনা সামনে এসেছে। বিভিন্ন জেলায় খোঁজখবর করে জানা গিয়েছে, এই উপভোক্তাদের মধ্যে অনেকেই আর বাড়ি তৈরি করতে রাজি নন। কিন্তু এবার রাজ্য সরকার নিজস্ব কোষাগার থেকে গরিব মানুষের বাড়ি তৈরির টাকা দিচ্ছে। প্রাথমিক ভাবে ১৩ হাজার ৮০০ কোটি টাকা তার জন্য খরচ হবে। যদিও অনুমান করা হচ্ছে, উপভোক্তার সংখ্যা বেড়ে ১৫ লক্ষ হতে পারে। সেক্ষেত্রে আরও টাকার বরাদ্দের প্রয়োজন। আর সেই কারণেই রাজ্য সরকার চাইছে, বরাদ্দকৃত টাকা যেন কোনও ভাবেই উল্টো পথে খরচ না হয়। উপভোক্তারা যে টাকা পাবেন, সেই টাকা যাতে বাড়ি তৈরির জন্যই খরচ হয় তা নিশ্চিত করতেই রাজ্য সরকার এবার উপভোক্তাদের কাছ থেকে মুচলেখা আদায় করছে। 

আরও পড়ুন, ১০০ কোটি টাকার জলপ্রকল্পের কাজ বেলডাঙায়, খুশ শহরবাসী

উপভোক্তা বাড়ি তৈরির জন্য যে টাকা পাবেন তা সেই কাজের জন্যই তিনি খরচ করবেন, সেটাই নিশ্চিত করতে রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতর সেই মুচলেখা আদায় করবে। সমীক্ষার পরে যারা যোগ্য উপভোক্তা হিসাবে চিহ্নিত হবেন তাঁদের মুচলেকা দিয়ে জানাতে হবে, ওই টাকায় তাঁরা বাড়িই তৈরি করবেন। অন্য কাজে খরচ করবেন না। পরিসংখ্যান বলছে, রাজ্যে অন্তত ৩০ থেকে ৪০ হাজার উপভোক্তার বাড়ি অসম্পূর্ণ। এর একটা বড় অংশ টাকা নিয়েছে কিন্তু কাজ শেষ করেনি। এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রুখতে বদ্ধপরিকর রাজ্য সরকার। তাই সমীক্ষার পর সংশ্লিষ্ট উপভোক্তা যদি যোগ্য হন, তাহলে তাঁকে জানিয়ে দিতে হবে যে তাঁর বাড়ির প্রয়োজন রয়েছে এবং তিনি সরকারি টাকাতেই তা তৈরি করবেন। এই তথ্য পঞ্চায়েত দফতরের কাছেও রেকর্ড হিসেবে থাকবে। পরবর্তী সময়ে দুর্নীতি বা অন্য কোনও প্রশ্ন উঠলে ওই নথি দেখিয়েই তা নস্যাৎ করতে পারবে সরকার। আধিকারিকদের দাবি, উপভোক্তাদের আরও বেশি দায়বদ্ধ করতেই এই উদ্যোগ। যে প্রকল্পের জন্য সরকার টাকা দেবে, তা যাতে বাস্তবায়িত হয়, সেদিকেই বিশেষ নজর দেবে দফতর। সন্দেহ নেই, রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপ আবাস যোজনায় দুর্নীতি ঠেকাতে বড় দৃষ্টান্ত হয়ে থেকে যাবে।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

রাতে স্কুলে বন্যপ্রাণীর উৎপাত, ক্লাস রুমে খাঁচা বসানো হল বনদফতরের উদ্যোগে

পাকিস্তানের জাতীয় পতাকা পুড়িয়ে বিক্ষোভ দেখালেন হিন্দু সমাজকল্যাণ সমিতির কার্যকর্তারা

বন্দুক হাতে ‘পাকিস্তানি ভাইয়া’র সঙ্গে ছবি শেয়ার করে পুলিশি নজরে নদিয়ার যুবক

গরম থেকে মুক্তি পেতে স্নান করতে গিয়ে মৃত ২, প্রায় দু’দিন পর উদ্ধার দেহ

ওয়াকফ থেকে ইস্যু ঘোরাতে কাশ্মীরে এই হামলা বিজেপি’ র পরিকল্পিত : মর্জিনা খাতুন

৩০ এপ্রিল রাজ্যে ‘হিট-স্ট্রোক ট্রিগার ইভেন্ট’ তৈরি হবে, বিশেষ সর্তকতা জারি

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর