নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: বাঙালি সেনা জওয়ানের রহস্যমৃত্যু কাশ্মীরে । হাওড়া জেলার উদয়নারায়ণপুরের পেড়োর বাসিন্দা বরুন দাসের মৃত্যু ঘিরে বাড়ছে রহস্য। তদন্তের দাবি পরিবারের।শুক্রবার দুপুরে পরিবারের সাথে কথা বলার এক ঘন্টা পর বাড়িতে আসে মৃত্যু সংবাদ । শ্রীনগরের সেনা ছাউনি থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার হয় দেহ । ওই সেনা জওয়ানের স্ত্রীকে কন্ট্রোল রুম থেকে ফোন করে এই তথ্যই দেওয়া হয়। আত্মঘাতী হয়েছে বলে দাবি সেনা বাহিনীর আধিকারিকের ।পরিবারের অভিযোগ এক ঘন্টা আগে বরুন বাবু বাড়িতে ফোন করে কথা বলেন তারপরে কিভাবে আত্মহত্যা করেন? প্রশ্ন পরিবারের ।
১৯ বছর ধরে সেনাবাহিনীতে কর্মরত বরুন দাস(Barun Das) । গত শনিবারই পদোন্নতি হয় বরুন বাবুর। তিনি হন হেড কনস্টেবল(Head Constable)।বরুন দাসের মৃত্যুতে শোকের ছায়া পরিবার ও গ্রামে । পরিবার সূত্রে খবর, ১৯ বছর আগে আধা সামরিক বাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন বরুণ। ধাপে ধাপে তাঁর পদোন্নতিও হয়। দিন চারেক আগেই হেড কনস্টেবল পদে পদোন্নতি হয়েছিলেন । সে দিন সেনাছাউনিতে মিষ্টিও বিতরণ করেছিলেন। বরুণ কর্মরত ছিলেন শ্রীনগরের(Srinagar) বরগ্রামে। সেখান থেকে রোজই স্ত্রী ও মেয়ের সঙ্গে তাঁর কথা হত। বিজলি জানান, শুক্রবার দুপুর ২টো নাগাদও বরুণের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছিল। স্বামীকে জানিয়েছিলেন যে, মেয়ে স্কুলে ভাল রেজাল্ট করেছে। পাশাপাশি স্কুলের ফি জমা দেওয়া নিয়েও তাঁর কথা হয়।
এর পর বিকেল ৪টে নাগাদ আচমকাই কন্ট্রোল রুম(Controll Room) থেকে ফোন করে জানানো হয় যে বরুণ নাকি আত্মহত্যা করেছেন। যা তিনি কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না। কারণ তার স্ত্রী দাবি করেন স্বামী এর আগে কোবরা বাহিনীতে ছিলেন। সেই কঠিন ডিউটি করার সময় তিনি আত্মহত্যা করেননি। আত্মহত্যা বিষয়টির তিনি ছিলেন ঘোর বিরোধী। কি করে তিনি এই অপরাধ করবে প্রশ্ন পরিবারের। গোটা গ্রাম এখন অপেক্ষা করছে ওই সেনা জওয়ানের নিথর দেহ ফেরার অপেক্ষায়।