নিজস্ব প্রতিনিধি: তিনি এখনও পর্যন্ত কয়বার দল বদল করেছেন তা নিয়ে গবেষণা হতেই পারে। কতবার তিনি বঙ্গ রাজনীতিতে বিপ্লব হাঁকাবার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সেটাও গবেষণার বিষয়বস্তু হতে পারে। কিন্তু আপাতত তাঁর সেই সব হুঁশিয়ারি বিপ্লব চলে গিয়েছে অন্তরালে। তিনি এখন সুবোধ বালক। ভাজা মাছটি তিনি উল্টে খেতেও জানেন না। তাই বিদ্রোহ, বিক্ষোভ, হুঁশিয়ারি ছেড়ে আস্থাপ্রকাশ ও ক্ষমাপ্রার্থনা। একেবারে ১৮০ ডিগ্রি ইউ-টার্ন। তিনি মুর্শিদাবাদ(Murshidabad) জেলার ভরতপুর(Bharatpur) বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক(TMC MLA) হুমায়ুন কবীর(Humayun Kabir)। তৃণমূলের তরফে তাঁকে শোকজ করা হয়েছিল। সেই শোকজের জবাবও দিয়েছেন তিনি। আর সেই জবাবিপত্রেই তিনি নিজের কৃত কর্মের জন্য ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন। সেই সঙ্গে দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের প্রতি আস্থাও দেখিয়েছেন। অন্তত তৃণমূল সূত্রে তেমনটাই জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন রাহুলের জয়ে শুভেচ্ছা ট্যুইট মমতার
পঞ্চায়েত ভোটে টিকিট বিলেকে ঘিরে দলের সঙ্গে বিবাদ বেঁধেছিল হুমায়ুনের। রীতিমত রণংদেহী মূর্তিতে তিনি সেই যুদ্ধ শুরু করেছিলেন। সেই সঙ্গে যুদ্ধ শুরু করেছিলেন মুর্শিদাবাদের তৃণমূল জেলা সভাপতি শাওনি সিংহ রায়ের বিরুদ্ধেও। তৃণমূলেরই অফিসিয়াল প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রার্থী দাঁড় করানো থেকে শীর্ষ নেতৃত্বকে আক্রমণ সবই করেছেন তিনি। এমনকি পঞ্চায়েত ভোটে তাঁর অনুগামী প্রার্থীরা হারের মুখ দেখলেও হুমায়ূণ মাথা নত না করার পণ নিয়েছিলেন। এমনকি তৃণমূল থেকে তাঁকে শোকজ করার পরেও হুঙ্কার ছাড়ছিলেন তিনি আলাদা দল গড়বেন। কিন্তু আদতে ঘটল পর্বতের মূষিক প্রসব।
নিজের শোকজ পত্রে দলের কাছে ক্ষমাই চেয়ে নিলেন তিনি। সেই সঙ্গে তৃণমূলের তিন সর্বোচ্চ নেতা-নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সী এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর তাঁর পূর্ণ আস্থা রয়েছে, এমনটাও জানালেন। পাশাপাশি মিডিয়ার সামনে দলের বিরুদ্ধে মুখ খোলার জন্য ক্ষমাপ্রার্থনাও নাকি করেছেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক। তবে জেলার যে সাংগঠনিক সমস্যা নিয়ে তিনি সরব হয়েছিলেন সেই সিদ্ধান্ত থেকে তিনি যে সরে আসছেন না সেটাও জানিয়ে দিয়েছেন। তাঁর আশা ভবিষ্যতে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব তাঁর আবেদন বিবেচনা করে দেখবে।