নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যের শতাধিক পুরসভার যে সব নিজস্ব পুরস্বাস্থ্যকেন্দ্র(Municipality Health Center) রয়েছে সেগুলিকে ধাপে ধাপে উন্নীত করেছে রাজ্য সরকার। ওই সব পুরস্বাস্থ্যকেন্দ্রে পরিষেবার মান উন্নীত হওয়ায় সেখানে আমজনতার আনাগোনাও বেড়েছে। কিন্তু স্বাস্থ্য দফতরের(Health Department) কাছে অভিযোগ আসছিল যে, ওই সব পুরস্বাস্থ্যকেন্দ্রে কর্মরত চিকিৎসক থেকে নার্স ও অনান্য কর্মীরা কার্যত ঘড়ি ধরে কাজ করছেন। ফলে যারা ওই সব পুরস্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা পরিষেবা(Treatment Facility) নিতে সেখানে যাচ্ছেন তাঁদের অনেক সময়েই খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে। বিশেষ করে চিকিৎসকদের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে তাঁরা, একটি নির্দিষ্ট সময়ের পরে আর রোগী(Patient) দেখতেই চাইছেন না। এই ঘটনা ঘটছে মূলত পুরস্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির আউটডোরে(Outdoor)। আর তাই এবার রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর থেকে দুটি কড়া নির্দেশিকা বার করা হল পুরস্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির জন্য।
সাধারণত রাজ্যের পুরস্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টো পর্যন্ত বহির্বিভাগের পরিষেবা মেলে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, সেখানে অনেক মানুষই দুপুরবেলায় বা বিকালের দিকে যাচ্ছেন চিকিৎসা পরিষেবা নিতে। কিন্তু দুপুর ২টোর পরে সেখানে আর কোনও চিকিৎসা পরিষেবা মিলছে না। কেননা যারা সেই সময়ে ওই সব কেন্দ্রে ভিড় জমাচ্ছেন তাঁদের কেউ রিকশ চালক, কেউ নির্মাণ কর্মী, কেউ বা ভ্যান চালানোর কাজ করেন। এরা সকাল থেকে দুপুর বা বিকাল অবধি নিজেদের কাজে ব্যস্ত থাকেন। তাই তাঁরা দুপুর ২টোর মধ্যে ওই সব পুরস্বাস্থ্যকেন্দ্র বা সুস্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির আউটডোরে যেতেই পারছেন না বা গেলেও ২টোর মধ্যে দেখাতে পারছেন না। তাঁদের তখন আবার অন্যদিন আসতে হচ্ছে। এই অবস্থায় রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের লক্ষ্য, এই সুস্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিকে ‘No Refusal’ নীতিতে চালানো হবে। আর সেই নীতি মানতে হবে সেখানকার চিকিৎসক থেকে নার্স মায় স্বাস্থ্যকর্মীদেরও।
স্বাস্থ্য দফতরের জারি করা নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, এবার থেকে রাজ্যের সব পুরস্বাস্থ্যকেন্দ্র বা সুস্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে বহির্বিভাগে যতক্ষণ রোগী থাকবে, ততক্ষণ সেখানে চিকিৎসা পরিষেবা দিতে হবে। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসা রোগীদের কোনওভাবেই প্পহিরিয়ে দেওয়া যাবে না। দরিদ্র মানুষের স্বার্থকে বাড়তি গুরুত্ব দিতে ওইসব সুস্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিকে ‘রোগী-বান্ধব’ করে তুলতে হবে। বেলা ২টো বেজে গিয়েছে কিন্তু আউটডোরে রোগী তখনও আছে, এই অবস্থায় শেষতম রোগীটিকেও পরিষেবা দিতে হবে। সময় হয়ে গিয়েছে তাই পরিষেবা মিলবে না, একথা বলা যাবে না। আর তাই এবার থেকে সপ্তাহে দুটি দিন বিকালের দিকেও আউটডোর পরিষেবা দিতে হবে। ওই দুই দিন বিকেল ৪টে থেকে সন্ধে ৭টা পর্যন্ত পুরস্বাস্থ্যকেন্দ্রে পরিষেবা দিতে হবে। জেলায় জেলায় ইতিমধ্যেই সেই নির্দেশিকা পৌঁছেছে।