এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

আয়করে আদায়ে রেকর্ড বাংলার, ৪১ হাজার কোটিরও বেশি

নিজস্ব প্রতিনিধি: স্বাধীনতার পরে যা কখনও হয়নি, বাম জমানার ৩৪ বছরেও যা হয়নি, সেটাই দেখা গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) আমলে। চলতি অর্থবর্ষের(Financial Year) গোড়া থেকেই জিএসটি(GST) আদায়ে উজ্জ্বল হয়ে দেখা যাচ্ছে বাংলার(Bengal) ভূমিকা। এবার তার সঙ্গেই যোগ্য সঙ্গত করল আয়করও(Income Tax)। গত আর্থিক বছরেই এই খাতে রেকর্ড আদায় হয়েছিল রাজ্যে। এবার সেই অঙ্কও ছাপিয়ে যেতে পারে বলে সম্ভাবনা দেখা গিয়েছে। কারণ পরিসংখ্যান বলছে, চলতি অর্থবর্ষে ইতিমধ্যেই আয়কর বাবদ প্রায় সাড়ে ৪১ হাজার কোটি টাকা আদায় হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ থেকে। গত অর্থবর্ষের একই সময়সীমার তুলনায় যা ৮.৯ শতাংশ বেশি। আর এই ক্ষেত্রে কর্পোরেটদের সঙ্গে রীতিমতো পাল্লা দিয়েছেন সাধারণ চাকরিজীবীরা। আর এই ছবিটাই কিন্তু বলে দিচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে বাংলা আজ আর্থিক ভাবে কতটা উন্নত হয়েছে। বিরোধীরা যে সব দাবি করে তা যে কতটা অবাস্তব ও মিথ্যা সেটাই বলে দিচ্ছে বাংলা থেকে এই বিপুল আয়কর আদায়ের ঘটনা।

আরও পড়ুন বলি হলটা কী, মিঠুনের গলায় মমতা-অভিষেকের প্রশংসা

আয়কর দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত বাংলা থেকে কর্পোরেট ট্যাক্স সংগ্রহ হয়েছে প্রায় ২২ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা। সেখানে চাকরিরত সাধারণ মানুষের থেকে আয়কর আদায়ের পরিমাণ প্রায় ১৯ হাজার ১৮৪ কোটি টাকা। এর আগে এই সময়সীমায় যা কখনও হয়নি। অর্থাৎ শিল্পমহল থেকে আসা করের তুলনায় মাত্র ৩ হাজার কোটি কম চাকুরিজীবীদের প্রদেয় করের পরিমাণ। কার্যত এখানেই বোঝা যাচ্ছে বিরোধিরা যে দাবি তোলে বাংলায় চাকরি নেই, বেকারত্বে ভরে গিয়েছে, তা কতটা ভুয়ো। শিল্প সংস্থা‌ই হোক বা সাধারণ মানুষ, প্রত্যেককে সারা অর্থবর্ষজুড়ে নির্দিষ্ট সময় অন্তর অগ্রিম আয়কর জমা করতে হয়। সেই হিসেবে দেখা যাচ্ছে, গত ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত এ রাজ্যে আয়কর আদায়ের মোট পরিমাণ ৪১ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকা। গত অর্থবর্ষে একই সময়ে প্রায় ৩৮ হাজার ১৮৭ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হয়েছিল। চলতি অর্থবর্ষ শেষদিন, অর্থাৎ ৩১ মার্চ পর্যন্ত আয়কর জমা দেওয়া যায়। ফলে টাকার অঙ্ক আরও অনেকটাই যে বাড়বে, তা বলাই বাহুল্য। এমনকী গত বছরের আদায়ের অঙ্ককেও পেরিয়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন আয়কর দফতরের আধিকারিকেরা।

আরও পড়ুন মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টায় মেঘালয়ে ইস্তাহার প্রকাশ অভিষেকের

চলতি অর্থবর্ষে অনেকটাই বেড়েছে জিএসটি সংগ্রহের পরিমাণ। এপ্রিল থেকে নভেম্বর পর্যন্ত রাজ্যে এই খাতে আদায়ের অঙ্ক ২৫ হাজার কোটি টাকার বেশি। গত আর্থিক বছরের তুলনায় বৃদ্ধির হার ২৫ শতাংশ। ফলে সাফ বোঝা যাচ্ছে, জিএসটি প্রদানের পাশাপাশি এবার আয়করের ভাঁড়ারও ভরছেন চাকরিজীবী তথা সাধারণ মানুষ। কিন্তু কেন এতটা উজ্জ্বল হচ্ছে ইনকাম ট্যাক্স আদায়? দপ্তরের কর্তারা বলছেন, এর কারণ একাধিক। রাজ্যে শিল্পের অবস্থা স্থিতিশীল। পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মধ্যেও কর দেওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। করদাতাদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে অনেক নতুন নাম। এরই সঙ্গে রোজগারের অঙ্ক লুকিয়ে যাওয়া ক্রমশ কঠিন হয়ে যাচ্ছে। একটা সময় ছিল, যখন করদাতাদের একাংশ নিজেদের আয়ের অঙ্ক গোপনে সমর্থ হতেন। পরিকাঠামোগত কারণে তা ধরা পড়ত না। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলেছে। ব্যাঙ্ক বা প্যানের সঙ্গে আধার সংযুক্তির কারণে মানুষ সারা বছর ধরে কোথায় কী লেনদেন করছেন, তা গোপন রাখা যাচ্ছে না। বরং আয়কর দফতরের কাছে সহজে এবং আরও বেশি করে এসে পৌঁছচ্ছে এই তথ্য। করদাতারা রিটার্ন দাখিল করার সময়ই দেখতে পাচ্ছেন তাঁদের আয়ের উৎসগুলি। ফলে সাধারণ চাকরিজীবীদের কাছে আয়ের তথ্য লুকিয়ে যাওয়া কঠিন। তাই করের বহরও বাড়ছে।

আরও পড়ুন সাভারকারকে পছন্দ করতেন না নেতাজি: অনিতা বসু পাফ

তবে অস্বীকার করার উপায় নেই রাজ্যে শিল্পক্ষেত্রে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ক্রেডিট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরই। তিনি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পরে পরেই কলকারখানায় হরতাল বন্ধ করিয়ে দিয়েছেন, রাজনৈতিক বনধ কার্যত ইতিহাসের পাতায় পাঠিয়ে দিয়েছেন, শিল্প কারখানা স্থাপন ও পরিচালনার জন্য সিঙ্গেল উইন্ডো সিস্টেম চালু করেছেন, শিল্প কারখানার মালিকেরা যাতে হুট করে কারখানা বন্ধ করে দিতে না পারেন তার ব্যবস্থা করেছেন। জোর দিয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের দিকেও। রাজ্যে বিনিয়োগ টেনে আনতে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের আসরও বসিয়েছেন। রাজ্যজুড়ে গড়ে তুলেছেন শিল্পপার্ক। শিল্প স্থাপনের পরিকাঠামো গড়ে তুলেছেন মসৃণ ভাবে। শিল্পক্ষেত্রে যাতে বিদ্যুতের সমস্যা না হয় তার জন্য রাজ্যে বিদ্যুতের উৎপাদন বাড়িয়েছেন। রাস্তাঘাটকে উন্নত করে দ্রুত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলেছেন। সেই সঙ্গে কলকাতাকে বিশ্বমানের নগরীতে রূপান্তরিত করেছেন যা বিনিয়োগ টেনে আনতে শায়ক হয়ে উঠেছে। কিন্তু পাশাপাশি এটাও ঘটনা যে বাংলা থেকে দুই হাত ভর্তি করে আয়কর নিয়ে গেলেও বাংলাকে নানা কেন্দ্রীয় প্রকল্প থেকে বঞ্চিত করছে মোদি সরকার। আটকে রেখেছে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের টাকা, আবাস যোজনার টাকা, মিড ডে মিলের টাকা।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে চাষের জমি লুটের অভিযোগ শেখ শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে

রবিবার থেকে জেলায় জেলায় শুরু হবে বৃষ্টি, সোমবার ভিজতে পারে কলকাতা

‘উনি কেন এখনও ফর্ম ফিলাপ করেননি?’, নাম না করে শান্তনুকে CAA খোঁচা মমতার

শেখ শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে জমি হাতানোর অভিযোগ

‘এখন থেকে আমি আর মোদিবাবুর নাম নেব না, বড্ড মিথ্যে কথা বলেন’

বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে দেখা করেই মৃত্যু মাধ্যমিক উত্তীর্ণ  ছাত্রীর

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর