এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

জুজুর নাম ইনকাম ট্যাক্স, বাংলায় সাড়ে ৩ বছরে ৩৭৪টি হানাদারি

নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার(Bengal) বুকে বিরোধী পক্ষকে দুর্বল করতে মোদি সরকারের(Modi Government) বিরুদ্ধে বার বার কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে ব্যবহার করার অভিযোগ উঠছে। সেই অভিযোগ মূলত তুলছে, বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস(TMC)। বাম-কংগ্রেসেরও তাতে সায় আছে। কেননা বার বার দেখা যাচ্ছে তৃণমূলের নেতামন্ত্রী ও জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে তৃণমূল ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদেরই বার বার ডাকা হচ্ছে গরু পাচার বা কয়লা পাচারের মামলায় জেরা করার জন্য। নিয়োগ দুর্নীতির সূত্রেও অনেক তৃণমূল ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি কেন্দ্রীয় এজেন্সির ডাক পাচ্ছেন জেরার মুখোমুখি হওয়ার জন্য। কিন্তু এর বাইরেও থেকে যাচ্ছে একটা বড় অংশের মানুষ যারা বিগত সাড়ে ৩ বছরে আয়কর দফতরের হানাদারির(Income Tax Raid) মুখে পড়েছেন। এদের প্রায় সবাই তৃণমূল ঘনিষ্ঠ। শুনলে চমকে যাবেন গত সাড়ে ৩ বছরে আয়কর দফতরের টিম বাংলার বুকে ৩৭৪টি হানাদারি চালিয়েছে। কিন্তু কেন?

আরও পড়ুন বলি আসছো কে কে, দরজা খুলছে ৫ সেকেন্ডের জন্যে

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ধারনা বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে ধাক্কা দিতে তাঁদের আয়ের উৎসে ধাক্কা দিতে চাইছে গেরুয়া শিবির তথা মোদি বাহিনী। রাজনৈতিক ভাবে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তাই পরিকল্পনা করে যেমন সিবিআই, এনআইএ, ইডি-কে ব্যবহার করা হচ্ছে ঠিক তেমনি তৃণমূলকে যারা নানান সময়ে আর্থিক ভাবে সাহায্য করেন তাঁদের ভয় দেখিয়ে সেই সাহায্য বন্ধ করিয়ে দিতে চাইছে। মূল লক্ষ্য, তৃণমূলকে দুর্বল করে তোলা। আর সেই লক্ষ্যেই আয়কর দফতরকে দিয়ে হানাদারি চালানো হয়েছে যা সফল হয়নি। উদ্ধার হয়েছে খুব সামান্য অঙ্কের নগদ টাকা বা গয়না। আর তা দেখেই এখন অনেকের ধারনা তৃণমূল ঘনিষ্ঠ ওই সব ব্যক্তিদের কার্যত প্রচ্ছন্ন বার্তা দেওয়া হয়েছে মোদি সরকারের তরফে তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিতে বা তাঁরা যেন তৃণমূলকে টাকাপয়সা না দেন, সেই বিষয়ে সতর্ক করে দিতে।

আরও পড়ুন ‘ডিসেম্বর মাসে ছোট্ট করে দরজাটা খোলা যাক’, বড় ইঙ্গিত অভিষেকের

২০১৯-২০ অর্থবর্ষ থেকে চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ৬ মাস অবধি অর্থাৎ মোট সাড়ে ৩ বছরে বাংলার বুকে আয়কর দফতর ৩৭৪টি হানাদারি চালিয়েছে। অথচ আয় বহির্ভূত সম্পদ উদ্ধারের পরিমাণ ৩০০ কোটি টাকাও নয়। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে কলকাতা সার্কেলে আয়কর হানা হয়েছে ১৪৩টি। নগদ ও সোনার গয়না নিয়ে উদ্ধার হয় মাত্র ৯৮ কোটি টাকা। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে তল্লাশির সংখ্যা ছিল ১২৮টি। উদ্ধার হয় ১২১ কোটির সম্পদ। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে ৮৭টি হানাদারিতে উদ্ধার হয় মাত্র ৪৭ কোটির সম্পদ। আর চলতি ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের প্রথম ৬ মাসে হানাদারির সংখ্যা ১৬টি। উদ্ধার হয়েছে মাত্র ১৫ কোটির সম্পদ। সব মিলিয়ে সাড়ে ৩ বছরে ৩৭৪টি হানাদারিতে উদ্ধার হওয়া সম্পদের পরিমাণ ২৮১ কোটি টাকার সম্পদ যার ৭৫ ভাগই নগদ টাকা। আর এই সব হানাদারির মধ্যে রয়েছেন তৃণমূল ঘনিষ্ঠদের সংস্থা থেকে ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান।

আরও পড়ুন ইডি-সিবিআই-এনআইএ থেকে জামিনের টোপে তোলাবাজি করে শুভেন্দু: অভিষেক

যদিও এই আয়কর হানাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রনোদিত বলে মানতে নারাজ আয়কর দফতরের কর্তারা। তাঁদের দাবি, কেন্দ্র এখন আইনের যে সংস্কার করেছে, তাতে হিসাব বহির্ভূত আয় লুকিয়ে যাওয়া কঠিন। আয়কর আদায়ের হিসেবই তার প্রমাণ দিচ্ছে। তবে এটাও সত্যি, নরেন্দ্র মোদির সরকার শিল্পমহলকে ভয় দেখিয়ে কাছে টানার চেষ্টা করে, এমন অভিযোগ বারবার শোনা যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) মুখে। রাজনৈতিকভাবে এঁটে উঠতে না পেরে, তারা ভয়ে ভক্তির রাজনীতির আমদানি করার চেষ্টা চালাচ্ছে বাংলায়, প্রায়শই বলে থাকেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই আয়কর দফতরের আধিকারিকদের একাংশ এটাও মানছেন যে, বাংলার বুকে গত সাড়ে ৩ বছরে যে আয়কর হানা হয়েছে বা এখনও হচ্ছে, তার অনেকগুলিতেই রাজনৈতিক গন্ধ এড়িয়ে যাওয়া যাচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্য প্রশাসনের কর্তাদের সুনজরে থাকা শিল্প সংস্থাগুলিই এক্ষেত্রে টার্গেট কেন্দ্রের।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

খাদ্যে বিষক্রিয়া, ডাইরিয়াতে আক্রান্ত মহিলা শিশু সহ ২০০ জন

শ্যামনগরের ওয়েভারলি জুট মিলে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড, ঘটনাস্থলে ৩ টি ইঞ্জিন

নির্বাচনী জনসভায় কর্মীদের উজ্জীবিত করতে বিস্ফোরক দেবাংশু ভট্টাচার্য

রবিবার পর্যন্ত কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা

রামনবমীতে অশান্তি, বেলডাঙ্গা ও শক্তিপুরের ওসিকে সাসপেন্ড করল কমিশন

তাপপ্রবাহে বিদ্যুৎ বিভ্রাট রুখতে জরুরি বৈঠকে বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর