নিজস্ব প্রতিনিধি: বঙ্গ বিজেপির(Bengal BJP) রক্তচাপ বাড়িয়ে দিলেন অমিত শাহ(Amit Shah)। রক্তচাপ বাড়ল অধিকারীদেরও। একই সঙ্গে রাজ্য রাজনীতিতে তো বটেই, জাতীয় স্তরের রাজনীতিতেও নিঃশব্দে বড় বার্তা দিয়ে দিলেন শাহ। খুব কম সময়ে হু হু করে সম্পত্তি বৃদ্ধি ঘটেছিল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর(Suvendu Adhikari) বাবা তথা সাংসদ শিশির অধিকারী(Sishir Adhikari)। সেই সম্পর্কিত নথি সোশ্যাল মিডিয়াতে তুলে ধরে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছিলেন রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের(TMC) রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ(Kunal Ghosh)। একইসঙ্গে তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে এই ঘটনায় CBI তদন্ত দাবি করে চিঠিও পাঠিয়েছিলেন। সেই ঘটনাতেই এবার নয়া মোড় এল। শাহ নিজে হিন্দিতে চিঠি লিখে পাঠালেন কুণালকে। সেই চিঠিতে তাঁর CBI তদন্ত দাবি করা চিঠির প্রাপ্তি স্বীকার করা হয়েছে। শাহের সেই চিঠিই মঙ্গলবার কুণাল তুলে ধরলেন সোশ্যাল মিডিয়াতে(Social Media)।
উনিশের ভোটে শিশির অধিকারী এবং তাঁর ছেলে দিব্যেন্দু অধিকারী দুইজনই তৃণমূলের টিকিটে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি ও তমলুক লোকসভা কেন্দ্র থেকে জিতেছিলেন। একুশের ভোটের মুখে শুভেন্দু তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া মাত্রই অধিকারী পরিবারও পাল্টি খেয়ে গেরুয়া শিবিরে ঝুঁকে পড়ে। সেই সময় খোদ শিহসিরকেও দেখা গিয়েছিল শাহি সভায় যোগদান করতে। গিয়েছিলেন মোদির সভাতেও। যদিও খাতায় কলমে এখনও তাঁরা তৃণমূল সাংসদ হয়েই রয়েছেন। তৃণমূল তাঁদের সাংসদ পদ খারিজের জন্য লোকসভায় আবেদন জানালেও এখনও পর্যন্ত তা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তই নেয়নি লোকসভার এথিক্স কমিটি। এই অবস্থায় কুনাল শিশিরের সম্পত্তি বৃদ্ধির বিষয়টি নিয়ে অমিত শাহকে চিঠি দেন CBI তদন্ত দাবি করে। সেই চিঠিরই প্রাপ্তি স্বীকার করেছেন শাহ। প্রাপ্তি স্বীকার করেই তিনি নতুন চিঠি পাঠিয়েছেন কুণালকে। এদিন সেই চিঠিকেই সোশ্যাল মিডিয়ার মারফত সামনে এনেছেন কুণাল।
সোশ্যাল মিডিয়াতে শাহি চিঠি তুলে ধরে কুণাল লিখেছেন, ‘শিশির অধিকারীর সম্পত্তিতে বিপুল বৃদ্ধি ও অসঙ্গতি। তদন্ত চেয়ে চিঠি দিয়েছিলাম। অমিত শাহর তরফ থেকে উত্তরে জানলাম চিঠি পেয়েছেন। সিবিআই সূত্র থেকে জানলাম চিঠি পৌঁছেছে। দিল্লি বাধা না দিলে তদন্ত নিশ্চিত। সারদা মামলায় অন্তর্ভুক্ত করে এর তদন্ত দরকার অবিলম্বে। শিশিরবাবুকে হেফাজতে নিয়ে তদন্ত করতে হবে। দিল্লি বাধা না দিলে তদন্ত নিশ্চিত। আশা করি সিবিআই শিশির অধিকারীকে হেফাজতে নিয়ে এবার জেরা শুরু করবে। দিল্লি বাধা না দিলে তা শিগগিরই শুরু হবে।’ আর এই শাহি চিঠিই নানা জল্পনা উস্কে দিচ্ছে রাজ্য ও জাতীয় স্তরের রাজনীতিতে। ভুললে চলবে না, রাজনীতিতে চিরস্থায়ী মিত্র বা শত্রু বলে কিছুই হয় না।