নিজস্ব প্রতিনিধি, কৃষ্ণনগর: কৃষ্ণনগর মানে পুজো প্রধান শহর।বিশেষত কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজোকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দেওয়ার কারণে ছোট্ট শহর কৃষ্ণনগর(City Krishnanagar) কে সকলেই এক কথায় জানে ও চেনে। কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজো মানেই থিমের আলো আধারি। সারা শহর জুড়ে রাস্তায় রাস্তায় অলিতে গলিতে আলোর ঝলকানি আর প্যান্ডেলের কারুকার্যতে থিম । মিষ্টি মুখধারী জগদ্ধাত্রী প্রতিমা।কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পূজা(Jagadhatri Puja) মানে ই প্রত্যেক বাড়িতেই আত্মীয়-স্বজন এর ভিড় জমে ওঠে। কৃষ্ণনগর(krishnanagar) মাটির পুতুলের জন্য বিখ্যাত।
আর সেই বিখ্যাত পুতুল গড়ার স্থান ঘূর্ণি সেখানকার প্রত্যেকটি পূজা মন্ডপ সেজে ওঠে সুন্দর সুন্দর থিমে ।প্রত্যেকটা পূজা মন্ডপ সমাজকে বার্তা দেওয়ার জন্য বিভিন্ন মডেল দিয়ে সাজায় সমগ্র পুজো মণ্ডপ। এদিকে কালিনগরের রেনবো ক্লাব এক কথায় সবাই চেনে। শহরের একপাশে ক্লাব রেনবো । শহর থেকে একটু দূরত্ব থাকে । কিন্তু মানুষ আবেগ উদ্দীপনার নিয়ে পৌঁছে যায় রেনবোর পূজা মন্ডপে। বিশাল বড় প্যান্ডেল করে দর্শণার্থীদের মন কাড়ে প্রতিবারই।এদিক রাধানগরের(Radhanagar) অনেক পুজোর মধ্যে অন্নপূর্ণা সরণী দেখার জন্য মানুষের ঢল উপচে পড়ে প্রতিবারই। এবছর তাদের থিম বুদ্ধ পার্ক।অপর দিকে শহরের কেন্দ্রে পাত্র বাজার স্বীকৃতি ক্লাব এ বছরের তাদের মণ্ডপে মধ্যে ফুটিয়ে তুলেছে দিল্লির লালকেল্লা(Lalkella)।ঘুর্ণি বারোয়ারির এবছরের থিম একটু সিয়াচিন। সব মিলিয়ে এবছর কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পূজাতে দর্শনার্থীদের উন্মাদনা চোখে পড়ার মতো।
কোভিড পিরিয়ড পেরিয়ে এ বছর প্রত্যেকে ক্লাব বারোয়ারি ডুবে গেছে থিম ও প্যান্ডেলের মধ্যে। তুলে ধরেছে দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করার জন্য বড় বাজেটের মন্ডপ ও প্রতিমা। জলঙ্গি(Jalangi) নদীর তীরে অবস্থিত গোলাপট্টি বারোয়ারীর এবছর তাদের থিম “আনন্দ” । জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত মানুষের জীবন যাপন তার মধ্যে আনন্দটাই সবথেকে বড় বিষয়। কৃষ্ণনগরের শতাধিক ক্লাব(Satadhik Club) বারোয়ারির সাথে পাল্লা দিয়ে থিম প্রতিমায় দর্শকদের মন কেড়েছে চৌরাস্তার পারিবারিক। তাদের মন্ডপ সমাজকে বার্তা দেওয়ার জন্য তুলে ধরেছে প্রকৃতিরও প্রাণ আছে। ভালো করে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে বড় পাহাড় ও গাছের মধ্যে প্রকৃতি তার নিজের রূপ ধরা দিয়েছে। সব মিলিয়ে রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের শহর কৃষ্ণনগর সেজে উঠেছে জগদ্ধাত্রীর আরাধনায় ।এটা বলাই বাহুল্য।