নিজস্ব প্রতিনিধি, কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি: মেখলিগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, পরেশ অধিকারীরা ।সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দেন তারা।বন্যা বিপর্যস্ত কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ এলাকা ।সিকিমের বাঁধ ভেঙে বুধবার দিনভর ধ্বংসলীলা চালিয়েছে তিস্তা। নদীর দু’ধারে যে জায়গাগুলোতে বিপর্যয়ের প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে তার মধ্যে অন্যতম কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ। দ্রুত উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতির রিপোর্ট চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(CM Mamata Banerjee)। তাঁর নির্দেশে বৃহস্পতিবার বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। সঙ্গে ছিলেন মেখলিগঞ্জের বিধায়ক পরেশচন্দ্র অধিকারী(MLA Paresh Chandra Adhikari)।
জয়ী সেতু থেকে বেশ কিছুটা নেমেছে জলের স্তর। তিস্তার চরের বাসিন্দাদের সঙ্গেও দেখা করেন তাঁরা। ত্রাণশিবিরে রাখা হয়েছে দুর্গত এলাকার বাসিন্দাদের। খাবারের প্যাকেট বিলি সহ তাদের সুযোগসুবিধার দিকেও খেয়াল রাখছে প্রশাসন।এদিনই উত্তরবঙ্গ পরিদর্শনে যান সেচমন্ত্রীও। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে মানুষের পাশে রয়েছে প্রশাসন। জল না নামা পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সঠিকভাবে জানা যাবে না বলে জানান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ(Rabindranath Ghosh)। অন্যদিকে,সিকিমে প্রাকৃতিক বিপর্যয়।গজলডবায় সেচ দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন সেচ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। এদিন বৈঠকে সেচ মন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন,অনগ্রসর দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী বুলুচিক বরাই সহ সেচ দপ্তরের আধিকারিকরা।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সেচ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক(Minister Partha Bhowmick) বলেন, আমাদের যারা চিফ ইঞ্জিনিয়ার,সুপার ইনটেন্ড,এসিসটেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মূলত টেকনিক্যাল দিকটা আমরা সবার সাথে কথা বললাম। কি অবস্থা আছে আমরা আর কি কি করতে পারি কি করনীয় সমস্ত বিস্তারিত জানলাম। মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছে যে সমস্ত ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা সেখানে যেতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে আমরা সবাই আপনাদের মাধ্যমে আসস্ত করতে পারি ভয়ানক ক্ষতি হবে না। এর পাশাপাশি তিনি আরও বলেন ,ডিজাস্টার আন্ডার কন্ট্রোলে। আমাদের সমস্যা পরিকল্পনা করা হয়ে গেছে। সমস্ত জায়গাকে ডিজাস্টার মুক্ত করা নিয়ে দপ্তরের সঙ্গে টাইম টু টাইম কথা হচ্ছে।