নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: জলপাইগুড়িতে টুকলিতে বাধা দেওয়ায় স্কুল ভাঙচুর করল মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা। সোমবার ছিল ইতিহাস পরীক্ষা। কড়া নিরাপত্তা ছিল স্কুল জুড়ে। পরীক্ষা শেষ না হতেই শুরু হয় অশান্তি। অভিযোগ ক্লাসরুম ব্যাপকভাবে ভাঙচুর করে পরীক্ষার্থীরা। ক্লাসের মধ্যে থাকা বেঞ্চ ফ্যান সুইচবোর্ড সবকিছু ভাঙ্গা হয়। তোমার ওই হট্টগোল শুরু হাই স্কুলের মধ্যে। অভিযোগ টুকলিতে বাধা পেয়ে এই কান্ড ঘটায় পরীক্ষার্থীরা। এরপর পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এলে পরীক্ষার্থীরা সেখান থেকে চলে যায়।
স্কুলের পক্ষ থেকে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে। স্কুলের পরিচালন সমিতি এই ঘটনা মেনে নেবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। তারা গোটা ঘটনার ছবি সহ বিষয়টি মধ্যশিক্ষা পর্ষদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চলেছে। এই প্রথম নয়, এর আগেও মালদার স্কুলে বা কখনো বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অথবা কলেজে এই ধরনের ঘটনা প্রকাশ্যে হয়েছে। তার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এ বছর মাধ্যমিকের (Madhyamik)পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিকে ঘিরে প্রশ্ন ফাঁস এবং টুকলি ঢাকাতে নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে পর্ষদ। মঙ্গলবার মালদার বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্রে নিজে পরিদর্শন করেছেন পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়। ইতিমধ্যে মালদার একাধিক ছাত্র-ছাত্রীকে মোবাইল ফোন(Mobile Phone) নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকার অপরাধে তাদের পরীক্ষা বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।
পশ্চিম বর্ধমান জেলার কুলটিতেও এক ছাত্রীর পরীক্ষা বাতিল করে দিয়েছে পর্ষদ। যখন রাজ্যে জুড়ে মাধ্যমিক পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হচ্ছে, সেই সময় জলপাইগুড়ির(Jalpaiguri) পাঁচিরাম নওহাটা উচ্চ বিদ্যালয়ে এই ঘটনা রীতিমত নিন্দার ঝড় তুলেছে শিক্ষক মহলে। জানা গেছে ওই স্কুলের এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষার সিট পড়েছে বেলাকোবা হাইস্কুলের পড়ুয়াদের। ইতিমধ্যে পুলিশ সোমবার ইতিহাস পরীক্ষার দিনে যে ঘটনা ঘটেছে তা নিয়ে ওই স্কুলের শিক্ষকদের বক্তব্য ও বয়ান রেকর্ড করেছে। এখন অপেক্ষা পর্ষদ কর্তৃপক্ষ পরবর্তী পদক্ষেপ কি গ্রহণ করে তার জন্য।