নিজস্ব প্রতিনিধি: বিজেপি ঘনিষ্ঠ বলে একাধিকবার অভিযোগ উঠেছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনকে (AMARTYA SEN) ‘উচ্ছেদ’ নোটিশ নিয়ে সরব মুখ্যমন্ত্রী, সামাজিক মর্যাদা রক্ষা কমিটি, বিশ্বভারতী বাঁচাও কমিটি। শনিবার মুক্তমঞ্চে হারমোনিয়াম বাজিয়ে রবীন্দ্রসঙ্গীত পরিবেশন করে বিদ্যুৎ- সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন কবীর। উপাচার্যের উদ্দেশ্যে দিয়েছিলেন বিশেষ বার্তা।
মুখ্যমন্ত্রীর কথা মতো বিশিষ্টজন-তৃণমূল বিধায়ক-নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষ অবস্থান করেছিলেন ‘প্রতীচী’র সামনে। এসেছিলেন বাউলরা। উপস্থিত ছিলেন চিত্র পরিচালক গৌতম ঘোষ, চিত্রশিল্পী যোগেন চৌধুরী, শুভাপ্রসন্ন এবং সঙ্গীতশিল্পী কবীর সুমন প্রমুখ। একতারা, দোতারা, ঝুমুর, মাদল, গান, নাচ, রং-তুলি- এসবই ছিল হাতিয়ার। যোগেন- শুভাপ্রসন্ন আঁকেন রবি-অমর্ত্য ছবি। সুমন গেয়েছিলেন, ‘প্রাণ চায় চক্ষু না চায়’, ‘তোমার হলো শুরু/ আমার হলো সারা’, ‘তুমি সন্ধ্যার মেঘমালা’। বহু শিল্পী প্রতিবাদ জানিয়ে হাতে নিয়েছিলেন শুভাপ্রসন্নের আঁকা, রবি ঠাকুরের পায়ের কাছে হনুমান।
কবীর সুমন এদিন বলেন, উপাচার্যের নাতি নাতনি হয়তো হয়নি এখনও কিন্তু হয়তো হবে। এরপরেই বলেন, ওঁ অনেকদিন হয়তো আদরও করেননি। স্নেহপরায়ণতাকে দূরে সরিয়ে রেখেছেন। তাঁর প্রশ্ন, বিশ্বভারতীর বারোটা বেজে গেলে কার লাভ? এই কথা উপাচার্য ও আচার্যকে বুঝতে হবে বলেও দাবি করেন তিনি।
‘উচ্ছেদ’ প্রসঙ্গে বলেন, ‘এখনও আমরা বেঁচে আছি’। তাঁর দাবি, এমন কিছু কখনও হলে সামনে রুখে দাঁড়াবেন তিনি ও অনেকে। হবে সাধারণের প্রতিরোধ জমায়েত।